Father Kills Daughter: অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই স্ত্রীকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন তিনি। কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার পর তার রাগ আরও বেড়ে যায়। যখন সন্তানের বয়স সাত মাস, তখন স্ত্রীর কোল থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে পুকুরে ছুঁড়ে ফেলেন ওই যুবক। পাঁচ বছর আগে ঘটেছিল এই ভয়াবহ ঘটনা, আর অবশেষে আদালত রায় দিল। মুর্শিদাবাদের লালবাগ অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালত বাবাকে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মুর্শিদাবাদের রানিতলা থানার জীবনপুর দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা মহিমা বিবি অভিযোগ করেছিলেন, ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর তার স্বামী আলমামুন হক তার কোল থেকে সাত মাস সাত দিনের কন্যাসন্তানকে ছিনিয়ে নিয়ে দৌড়াতে শুরু করেন। এরপর, মেয়েকে পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দেন। চোখের সামনে এই ঘটনা দেখে মহিমা বিবি চিৎকার করেছিলেন। প্রতিবেশীরা এসে পুকুর থেকে ছোট্ট মেয়েটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান, কিন্তু চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর মহিমা স্বামী আলমামুনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মহিমার দাবি ছিল, গর্ভাবস্থায় তার স্বামী তাকে হুমকি দিয়েছিলেন যে, কন্যাসন্তান হলে তিনি তাকে খুন করে দেবেন। অভিযোগের ভিত্তিতে রানিতলা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে আলমামুনকে।
মোট ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর, শনিবার লালবাগের অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা আদালতের বিচারপতি ঋষি কুশারি আলমামুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। জরিমানার অর্থ না দিলে তাকে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই রায়ের মাধ্যমে আদালত ওই ভয়াবহ ঘটনার জন্য দোষী ব্যক্তির উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করেছে।