পশ্চিমবঙ্গে পেট্রোলিয়াম তেলের সন্ধান: কেন্দ্র দাবি করেছে, পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগর, রানাঘাট, কাঁকপুল সহ আরও ৯৯.০৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় খনিজ তেলের রিজার্ভ রয়েছে। এই নতুন আবিষ্কারের পর, খনিজ তেল খননের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজ চাওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে তেলের খনি থাকতে পারে বলে অনুমান করছে কেন্দ্র। এরই মধ্যে, ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় খননের জন্য রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী সংসদে এই খবর জানিয়েছেন। মন্ত্রীর অভিযোগ, উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর সহ একাধিক জায়গায় তেলের সন্ধান মিললেও, রাজ্যের অনুমতি না পাওয়ায় তেল উত্তোলন শুরু করা যায়নি।
কেন্দ্র দাবি করেছে, রাজ্য সরকারের কাছে অশোকনগরের পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজ নিতে মোট ১৯টি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি চিঠি পাঠিয়েছিল ওএনজিসি (ONGC), এবং ৩টি চিঠি পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। আরও ২টি চিঠি পাঠিয়েছিল ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হাইড্রোকার্বন। তবে, অশোকনগর এলাকায় তেল উত্তোলনের বিষয়ে, রাজ্য সরকারের তরফে কোনো উত্তর বা সাড়া পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ।
২০১৮ সালে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে তেলের খনি সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল, এবং ওএনজিসি জানিয়েছে, অশোকনগরের ৫.৮৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় তেল রয়েছে। এছাড়াও, রানাঘাট ও কাঁকপুল সহ আরও ৯৯.০৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় খনিজ তেলের উপস্থিতি পাওয়ার দাবি করেছে কেন্দ্র। এই এলাকাগুলিতে খননের জন্য লিজ অনুমতি চেয়ে বাবার চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্র।
রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের প্রশ্নের জবাবে, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী এই সব তথ্য প্রকাশ করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে তেলের খনির পিছনে ইতিমধ্যে ১০৪৫.৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। মন্ত্রী আরও জানান, যদি এখানে খননকার্যের মাধ্যমে মাটির তলা থেকে তেল উত্তোলন শুরু করা যায়, তাহলে বছরে পশ্চিমবঙ্গের আয় হতে পারে ৮১২৬ কোটি টাকা।