Dearness Allowance: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ (Dearness Allowance) মামলার শুনানি আগামীকাল ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। উল্লেখ্য, এই মামলার শুনানি ইতিমধ্যেই ১৩ বার পিছিয়ে গিয়েছে। প্রতিবার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ার মূল কারণ হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের সময়াভাবকে দায়ী করা হচ্ছে। মামলার সিরিয়াল নম্বর অনেক পেছনে থাকার কারণে নির্ধারিত সময়ে এটি শুনানির তালিকায় আসতে পারেনি। এর ফলেই বারবার নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
Table of Contents
WB Government Employees Dearness Allowance Case Update
আগামীকাল, ৭ ই জানুয়ারি, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরা তাকিয়ে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের দিকে। ডিএ (Dearness Allowance) মামলার শুনানি নিয়ে তাঁদের মনে এখন একটাই প্রশ্ন—এই তারিখটি কি শেষমেশ ফয়সালার দিন হতে চলেছে? নাকি আবারও শুনানির তারিখ পিছিয়ে যাবে? শুক্রবার শীর্ষ আদালতের তরফে একটি কজলিস্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এই কজ লিস্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, ৭ ই জানুয়ারি ডিএ মামলার শুনানি কত নম্বরে রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে বকেয়া DA মামলা
জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের ডিএ (Dearness Allowance) মামলা আদালতের কজলিস্টে ৪৫ নম্বরে রয়েছে। মামলাটি উঠবে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চে। কজলিস্ট অনুযায়ী, এটি চার নম্বর আদালত কক্ষে জাস্টিস রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে একেবারে শেষে রাখা হয়েছে। প্রত্যেকবারের মতো এবারও ডিএ মামলাটি তালিকার একদম শেষদিকে রয়েছে।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ
আদালতের কার্যক্রম শুরু হয় প্রতিদিন সকাল ১০:৩০ মিনিটে। এই সময় থেকে তালিকা অনুযায়ী মামলাগুলি একে একে ওঠে। তবে, যেসব মামলা কজলিস্টে একদম শেষের দিকে থাকে, সেগুলি প্রায়ই সময়াভাবে স্থগিত রেখে দেওয়া হয়। আগামীকাল, ৭ ই জানুয়ারি, ডিএ মামলার শুনানি আবারও একদম শেষের দিকে রয়েছে। তাই সেই দিন আদৌ শুনানি সম্পন্ন হবে কিনা, তা নিয়ে সরকারি কর্মচারীরা দ্বন্দ্বে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত বলা যায়, পঞ্চম বেতন কমিশন সংক্রান্ত এই মামলা ২০১৬ সালে শুরু হয়েছিল। আজ, ২০২৫ সাল এসে পৌঁছেছে। কিন্তু এত বছর ধরে চলা মামলার নিষ্পত্তি এখনও পর্যন্ত হয়নি। রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বারবার শুনানির তারিখের জন্য অপেক্ষা করেছেন। কিন্তু প্রতিবারই দেখা যাচ্ছে মামলার শুনানি পিছিয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায়, কর্মচারীরা যখন প্রত্যাশা নিয়ে আদালতে যান, তখন শুনানির তারিখ পিছিয়ে যাওয়ায় হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়।
পঞ্চম বেতন কমিশন সংক্রান্ত এই মামলা প্রথমে উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানের মামলায় যদিও জয় পেয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মীরা, তবে এরপরে রাজ্য সরকার সেই মামলার আবার সুপ্রিম কোর্টে ওঠায়। ডিএ মামলার শুনানি চলাকালীন বিভিন্ন বিচারপতি অবসর গ্রহণ করেছেন ও নতুন বিচারপতি এসেছে, তবে এখনো পর্যন্ত ডিএ মামলার নিষ্পত্তি সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার একের পর এক ডিএ বাড়িয়ে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের। বর্তমানে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা মাত্র ১৪ শতাংশ ডিএ পাচ্ছেন। কিন্তু কেন্দ্র সরকারের কর্মচারীদের ডিএ ও রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের ডিএ-র মধ্যে বর্তমানে ৩৯ শতাংশের পার্থক্য রয়েছে। এতটা পার্থক্য হওয়ায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ক্ষোভ আরো দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এইদিকে, শুনানির ডেট বারবার পিছিয়ে যাওয়া, সেই সঙ্গে ডিএ বৃদ্ধি না হওয়া এবং সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করার বিষয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সব মিলিয়ে ৭ই জানুয়ারির মহার্ঘ ভাতা মামলার শুনানির দিকে নজর রেখেছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। আর এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানার জন্য আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে সকলকে।