বিয়ের সাত মাসের মাথায় পণের দাবিতে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। তবে স্বামীর দাবি, তার স্ত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে কল্যাণীর হরিণঘাটা থানা এলাকায়। মৃত তরুণীর নাম নিকিতা বিশ্বাস (২২)। তার পরিবার অভিযোগ করেছে, পণের জন্য চাপ দেওয়ার পরই স্বামী তাকে খুন করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।
নিকিতা নদিয়ার হরিণঘাটা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের মে মাসে তার বিয়ে হয় বসন্তপুর এলাকার আকাশ রায়ের সঙ্গে। তবে, তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের কিছু মাস পর থেকেই আকাশ স্ত্রীর উপরে পণের দাবিতে অত্যাচার শুরু করেন। বাবার বাড়ি থেকে বারবার টাকা আনার জন্য নিকিতাকে চাপ দেওয়া হয়। শুক্রবার রাতে, আকাশ বধূর পরিবারকে জানায় যে, তাদের মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। এরপর খবর দেওয়া হয় হরিণঘাটা থানায়। পুলিশ এসে নিকিতাকে হরিণঘাটা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তরুণীর এক আত্মীয় জানিয়েছেন, বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই নিকিতাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করতে শুরু করেন আকাশ। শুক্রবার রাতে, আকাশের বাড়িতে গিয়ে তারা নিকিতাকে মেঝেতে শোয়া অবস্থায় দেখতে পান। নিকিতার কাকা রমেশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘নিশ্চিত এটি খুনের ঘটনা। চাহিদা মতো টাকা জামাইকে দিতে না-পারায় সে মেয়ে খুন করেছে। মেয়ে ওপর অত্যাচারের কথা আমরা আগেই জানতাম।’’ এই কথাগুলো পরিবারটির ক্ষোভ এবং দুঃখের প্রতিফলন, যারা এই ঘটনায় পুরোপুরি অবিচারের শিকার হয়েছেন।
রানাঘাট পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার সিদ্ধার্থ ধাপোলা জানিয়েছেন, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে এক অভিযুক্তকে।