কুশল দাসগুপ্ত,শিলিগুড়ি: আপাতত দুজনেই ভালো আছে জানালেন স্থানীয় মানুষ, দুপুরে শহরের শান্ত রাস্তায় হঠাৎই ভেসে এল এক মহিলার আর্ত চিৎকার। প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন তিনি। মালদা কলেজ মাঠ সংলগ্ন ট্র্যাফিক পোস্টের পাশের ফুটপাথে গর্ভবতী মহিলাকে ঘিরে ব্যস্ত হয়ে পড়েন আশপাশের কয়েকজন মহিলা। দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিতে উদ্যোগী হন ট্র্যাফিক পুলিশ।
ট্র্যাফিক পোস্টের ছাতা দিয়ে একদিক আড়াল করা হয়, অন্যদিকে ফ্লেক্স হাতে দাঁড়িয়ে যান ট্র্যাফিক আইসি এবং এক কনস্টেবল। কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়াররা কেউ জলের ব্যবস্থা করেন, আবার কেউ পথচারীদের সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন। মিনিট কয়েকের মধ্যেই সেই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বদলে গেল, যখন হঠাৎ শোনা গেল সদ্যোজাত শিশুর কান্নার আওয়াজ। ভেতর থেকে এক মহিলা চিৎকার করে বললেন, “ছেলে হয়েছে!” মুহূর্তের মধ্যেই চিন্তাগ্রস্ত মুখগুলিতে আনন্দের ছাপ ফুটে উঠল। ঠিক সেই সময় ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় অ্যাম্বুলেন্স, যেখানে মা এবং নবজাতককে মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ওই প্রসূতি মহিলার স্বামী বলেন, “প্রায় সাত মাস আগে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লিতে রাজমিস্ত্রীর কাজে গিয়েছিলাম। আজ সকালেই দিল্লি থেকে ফিরেছি। স্টেশন থেকে রথবাড়ির বাস ধরতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু এরই মধ্যে স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। দিশেহারা হয়ে কোনও ডাক্তারের খোঁজ করতে করতে ওই ট্র্যাফিক পোস্টের সামনে চলে আসি। তখনই ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীরা এগিয়ে এসে সাহায্য করেন। স্ত্রী পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছে। এখন দুজনেই মালদা মেডিকেলে ভালো আছে।”