Salary Hike: অবশেষে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর! যদিও কেন্দ্রীয় হারে DA (মহার্ঘ ভাতা) এখনো মেলেনি, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বেতন ভাতা সংক্রান্ত একটি বিশেষ দাবি মেনে নিয়েছে। এই নতুন ঘোষণায়, আগের তুলনায় বিশেষ এক ভাতা ৫ থেকে ৭ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। আর এই পরিবর্তন কার্যকর হবে ১ নভেম্বর ২০২৪ থেকে। উৎসবের আবহে এই ঘোষণাটি স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি ভাতা পাওয়া কর্মীদের মধ্যে এক আনন্দের বন্যা বইয়ে দিয়েছে।
Table of Contents
Salary Hike কারা পাবেন এই বিশেষ ভাতা?
রাজ্য সরকারের এই ঘোষণা শুধু স্কুল শিক্ষকদের জন্য বিশেষভাবে প্রযোজ্য। সূত্রের খবর অনুযায়ী, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রে কর্মরত শিক্ষকরা এই ভাতা বৃদ্ধির আওতায় আসবেন। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকদের দাবি ছিল যে, তাদের কাজের চাপ ও দায়িত্বের তুলনায় বর্তমান ভাতা অত্যন্ত কম। রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে, পরীক্ষাকেন্দ্রের ইনচার্জ, সেন্টার সেক্রেটারি, ভেন্যু সুপারভাইজারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মীদের জন্য ভাতা ৫ থেকে ৭ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
আগে কত পেতেন, এখন কত পাবেন?
নতুন ঘোষণায় পরীক্ষাকেন্দ্রের ইনচার্জরা প্রতি পরীক্ষায় ২,০০০ টাকা ভাতা পাবেন, যা আগের তুলনায় অনেক বেশি। একইভাবে, সেন্টার সেক্রেটারি ও ভেন্যু সুপারভাইজাররা পাবেন ১,৫০০ টাকা করে, যেখানে আগে এই ভাতা ছিল মাত্র ৩০০ ও ১৫০ টাকা। এছাড়াও, প্রশ্নপত্র দেখভালের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা পাবেন ৭০০ টাকা এবং অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ৬০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত ভাতা পাবেন।
শিক্ষক সমাজের প্রতিক্রিয়া
ঘোষণাটি আসার পর থেকেই শিক্ষক সমাজে আনন্দের হাওয়া বইছে। দীর্ঘদিন ধরে ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে চলা আন্দোলন অবশেষে সফল হয়েছে। এক শিক্ষক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “আমরা রাজ্য সরকারের কাছে এতদিন আমাদের কষ্টের কথা জানিয়ে এসেছি। এই ভাতা ও বেতন বৃদ্ধি আমাদের পরিশ্রমের সঠিক স্বীকৃতি।
আর্থিক প্রভাব ও রাজনৈতিক দিক
এই ভাতা বৃদ্ধির ফলে রাজ্যের রাজকোষ থেকে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার অতিরিক্ত ব্যয় হবে বলে জানা গেছে। যদিও এটি সরকারের উপর কিছুটা চাপ সৃষ্টি করবে, তবে শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এটি একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি (WBCHSE) চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “দু’বছর আগেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরীক্ষাকেন্দ্রের ইনচার্জ এবং সুপারভাইজারদের ভাতা বাড়ানো হয়েছিল। আমাদের কাছে ভাতা বৃদ্ধির দাবি আসছিল। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার কাজে অনেক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা যুক্ত থাকেন। তাদের কথা চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।