JKNews24 Bangla: BSF-এ মহিলা জওয়ানদের অন্তর্ভুক্তি, দিন যত এগোচ্ছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি ততটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশ থেকে জঙ্গি প্রবেশের উদ্দেশ্যে সীমান্তে লাগাতার উস্কানি দিচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (BGB)। এমনকি, ভারতের জমিতে কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলেও বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে ভারতীয় বাহিনীকে।বিএসএফ (Border Security Force) যেমন চাপে রয়েছে, তেমনই সীমান্ত এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারাও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। এর মধ্যেই রাতের অন্ধকারে চোরা পাচারের ঘটনাও সামনে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে বিএসএফের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন গ্রামের মহিলারাও। তাঁরা এখন সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে অংশীদার হয়ে অনুপ্রবেশ ও চোরা পাচার ঠেকাতে প্রস্তুত।
BSF-র পাশে এবার গ্রামের মহিলারা
সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল রবিবার ভোরবেলায় মালদহের সুখদেবপুরে ৬ জন জঙ্গিকে সীমান্ত পার করানোর চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশ সেনা বাহিনী (BGB)। এই দৃশ্য সরাসরি দেখেছিলেন গ্রামবাসীরা। সঙ্গে সঙ্গে BSF এবং গ্রামবাসীদের তৎপরতায় তারা পালাতে বাধ্য হয়। যদিও এমন ঘটনা আগেও অনেকবার তাঁদের অলক্ষ্যে ঘটে গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আর পিছিয়ে থাকতে চান না গ্রামের মহিলারা। তাঁরা এবার নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছেন অস্ত্র—লাঠি, বটি, দাঁ। সাধারণ গৃহিণী থেকে তাঁরা এবার হয়ে উঠছেন মা রণচণ্ডী। সুখদেবপুর ও আশেপাশের গ্রামের মহিলারা গতকাল রাতেই বৈঠক করে সীমান্ত পাহারা দেওয়ার এই সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
গ্রামবাসীদের দাবি, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী রাতের অন্ধকার বা ঘন কুয়াশার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, অনেকে কুয়াশার আড়ালে ঢুকে জমির শস্য কেটে নিচ্ছে, ফসল চুরি করছে, এমনকি গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করার অভিযোগও উঠেছে। এই ক্রমবর্ধমান সমস্যায় অতিষ্ঠ হয়ে গ্রামবাসীরা এবার আর চুপ করে বসে থাকতে রাজি নন। নিজেদের দেশ ও সম্মান রক্ষায় পথে নেমেছেন গ্রামের মহিলারা। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সীমান্তে পাহারার দায়িত্ব এখন তাঁরাও কাঁধে তুলে নেবেন।
অন্যদিকে, সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে কূটনৈতিক স্তরেও উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। আজ দিল্লিতে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার নুরাল ইসলামকে ডেকে পাঠিয়েছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। সূত্রের খবর, দুপুর নাগাদ তাঁকে দিল্লির সাউথ ব্লকে অবস্থিত বিদেশ মন্ত্রকের দফতর থেকে বের হতে দেখা গেছে। এর আগে, রবিবার ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় বর্মাকেও ডেকে পাঠিয়েছিল মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সীমান্ত পরিস্থিতি এবং সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে এই কূটনৈতিক তৎপরতা নতুন মোড় নিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।