বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে ইডির হানা। ইডি (ED) ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে, যা মূলত অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ এবং মানব পাচারের অভিযোগের তদন্তের অংশ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইডি-র ঝাড়খণ্ড অফিসের আধিকারিকরা ১৭টি স্থানে এই অভিযান পরিচালনা করছেন। জানা গেছে, কয়েক মাস আগে ঝাড়খণ্ডে কিছু বাংলাদেশি নারীর অবৈধ অনুপ্রবেশ ও পাচারের অভিযোগ উঠেছিল। সেপ্টেম্বর মাসে ইডি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের (PMLA) আওতায় এই ঘটনা নিয়ে একটি মামলা দায়ের করে। অভিযোগ করা হয়েছে যে, এই অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালানের মাধ্যমে অপরাধমূলক অর্থ উপার্জন করা হয়েছে। এরই ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডে ইডি অভিযান শুরু করেছে, যার ফলে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
অভিযান চালায় এনআইএ (NIA)
গত সোমবার, অর্থাৎ ১১ই নভেম্বর, দেশের নয়টি রাজ্যে বড়সড় অভিযান চালিয়েছে এনআইএ (NIA)। এই অভিযান মূলত বাংলাদেশি ও আল কায়েদার (Al-Qaeda) সঙ্গে জড়িত নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়। তদন্তে জানা যায় যে, কিছু সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিক আল কায়েদার মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলিকে অর্থ সাহায্য দিচ্ছে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড দেশের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠছে। এনআইএ-র এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল এমন ব্যক্তিদের শনাক্ত করা, যারা দেশে অনুপ্রবেশ করে চোরাগোপ্তা কার্যক্রমে লিপ্ত এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে।
নির্বাচনী প্রচারে অনুপ্রবেশের প্রসঙ্গ তুলেছিল বিজেপি
সম্প্রতি নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির (BJP) শীর্ষ নেতারা রাজ্য সরকারকে অনুপ্রবেশকারীদের উৎসাহিত করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, এই অনুপ্রবেশের ফলে আদিবাসী-অধ্যুষিত এলাকাগুলির, বিশেষ করে সাঁওতাল পরগনা এবং কোলহান অঞ্চলের জনসংখ্যার ভৌগোলিক দৃশ্যপট পরিবর্তিত হয়েছে।
এই ইস্যু নিয়ে চর্চা চলছে কারণ ঝাড়খণ্ডে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ খুব কাছাকাছি। প্রথম ধাপে আগামী বুধবার ৪৩টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এবং দ্বিতীয় দফায় ২০শে নভেম্বর ৩৮টি আসনে ভোট হবে। এই ধরনের অভিযানের মাধ্যমে, বিজেপি নেতৃত্ব রাজ্যের নিরাপত্তা এবং জনসংখ্যার পরিবর্তনের বিষয়টি তুলে ধরে রাজনৈতিক ময়দানে নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে চাইছে।