কুশল দাসগুপ্ত,শিলিগুড়ি: জলপাইগুড়ি এবং তার আশেপাশের এলাকায় ইলিশ মাছ যেন সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের ঝামেলার কারণে এ বছর ইলিশের আমদানি একেবারেই বন্ধ, আর যা সামান্য পাওয়া যাচ্ছে, তার দাম মধ্যবিত্তের ধরাছোঁয়ার বাইরে। বর্তমানে জলপাইগুড়ির মিনি মার্কেট, সুপার মার্কেট এবং দিন বাজারে ইলিশের কেজি প্রতি দাম ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষ এই দামে ইলিশ কেনা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করছেন।
গত তিন সপ্তাহ ধরে জলপাইগুড়িতে তেমন ইলিশ আসেনি। যা এসেছে, তা মূলত ডায়মন্ড হারবার এবং সুন্দরবন থেকে। তবে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এই ইলিশ বাংলাদেশি ইলিশের মতো স্বাদ বা মানের কাছাকাছিও নয়। এর ফলে ক্রেতাদের মধ্যেও ইলিশ কেনার আগ্রহ অনেকটাই কমে গেছে। এমনকি জলপাইগুড়ির কিছু জায়গায় কলকাতার মতো প্রতি পিস হিসেবে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে, যার দাম রাখা হচ্ছে ৩০ টাকা।
বিক্রেতারা হতাশার সুরে বলছেন, “এ বছর বাংলাদেশের ইলিশ আর আশা করাই বৃথা। কোল্ড স্টোরেজেও মাছ শেষ হয়ে গেছে, বর্ষাও শেষের পথে। ফলে আপাতত ডায়মন্ড হারবার বা সুন্দরবনের মাছের উপরেই নির্ভর করতে হবে।”
ইলিশপ্রেমীরা এখন ভবিষ্যতের অপেক্ষায় আছেন। বিক্রেতারাও আশায় রয়েছেন, পরিস্থিতি একটু ভালো হলে হয়তো সামান্য পরিমাণে হলেও ইলিশ আসবে। তবে বাংলাদেশের বিখ্যাত ইলিশের স্বাদ নিতে হলে এ বছর অপেক্ষা করতে হবে আরও অনেকদিন। এমন সংকটের মাঝেও ইলিশপ্রেমীরা কি আর ধৈর্য রাখতে পারবেন? নাকি অন্য কোনো বিকল্প খুঁজে নেবেন? আপাতত সেটাই দেখার বিষয়।