বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও নতুন মোড়! এক যুব নেতার বিস্ফোরক দাবিতে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। তার অভিযোগ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ফেরানোর জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে, আর এর পেছনে ভারতেরও ভূমিকা থাকতে পারে! ২০২৪ সালে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনের ইতি ঘটেছিল। তবে এবার সেই দল আবারও দেশে ফিরতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আন্দোলনকারী এই যুব নেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে তিনি দাবি করেছেন, সেনাবাহিনী ও ভারতের এক বিশেষ পরিকল্পনার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ফের ক্ষমতায় আনার চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশে ক্ষমতায় ফিরছে আওয়ামী লীগ?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ! এনসিপি নেতা হাসনাত সরাসরি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে ফেরানোর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন। তার দাবি, সেনাবাহিনী সক্রিয়ভাবে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ফেরাতে কাজ করছে, আর এই পরিকল্পনায় ভারতেরও ভূমিকা রয়েছে!
👉 আওয়ামী লীগের দাবি:
২৬ মার্চ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে দলটির প্রত্যাবর্তন হতে পারে। আর এই ‘ফিরে আসার’ পেছনে ভারতের হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। যদিও এর সত্যতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, তবে রাজনৈতিক মহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে।
👉 আন্দোলনের পরেও নিষিদ্ধ নয় আওয়ামী লীগ!
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হলেও, আওয়ামী লীগের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আসেনি। অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ ইউনুসের সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে, তারা অপরাধীদের বিচার করবে, তবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই।
👉 বিএনপির অবস্থান পরিবর্তন
আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি শুরুতে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুললেও, সাম্প্রতিক সময়ে তাদের সুর অনেকটাই নরম হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমীকরণ দ্রুত বদলাচ্ছে, আর তারই অংশ হিসেবে বিএনপির অবস্থানেও পরিবর্তন এসেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যুব নেতা বলেছেন তাঁদের নাকি ঢাকা ক্যানটনমেন্টে ডেকে রীতিমতো ধমক দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ‘রিফাইন্ড-আওয়ামি লিগ’কে মেনে নিতে হবে। তবে হাসনাতরা নাকি সেই ‘চাপের’ সামনে মাথা নত করেননি।
যুব নেতা আরও বলেছেন, সেনা বাহিনী তাদের ধমক দিয়েছে। যুব নেতার কথায়, এক সেনা কর্তা নাকি তাঁদের ‘ধমকেছেন’। সেনা নাকি তাঁদের বলেছেন, ‘তোমরা কিছুই জান না। তোমাদের অভিজ্ঞতা নেই। আমরা ৪০ বছর ধরে সার্ভিসে আছি। তোমার বয়সের থেকে বেশি। আওয়ামি লিগ ছাড়া সার্বিক নির্বাচন সম্ভব নয়।’ হাসনাত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তাঁরা কিছুতেই শেখ হাসিনা বা তাঁর দলকে মেনে নেবেন না।