পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের মধ্যে কৃষক বন্ধু প্রকল্প অন্যতম। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের আর্থিক সুরক্ষা দেওয়া হয়, যাতে তাঁরা চাষের খরচ সামলাতে পারেন। সরকারের তরফ থেকে সরাসরি কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বছরে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা এবং সর্বনিম্ন ৪ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। কৃষক বন্ধু (নতুন) প্রকল্পের সুবিধা পেতে অবশ্যই আপনাকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করতে হবে। এছাড়াও কোনো কৃষক বন্ধুর যদি অকাল মৃত্যু হয়ে থাকে, তাহলে তাদের পরিবারকে রাজ্য সরকার এককালীন ২ লক্ষ টাকা দিয়ে থাকে।

কৃষক বন্ধু (নতুন) প্রকল্পের জন্য আবেদন করা একদম সহজ! প্রথমে, আপনার নিকটবর্তী দুয়ারে সরকার ক্যাম্প অথবা কৃষি অফিসে গিয়ে আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করুন। এরপর, ফর্মটি সতর্কতার সাথে পূরণ করুন এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংযুক্ত করুন। সব ঠিকঠাক হয়ে গেলে, যেখান থেকে ফর্ম নিয়েছেন, সেখানেই জমা দিন।

কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আবেদন ডকুমেন্টস

১) পাসপোর্ট সাইজের কালার ফটো,
২) জমির পরচা, পাট্টা, বর্গানথি, বনবিভাগের পাট্টা,
৩) আধারকার্ড (বাধ্যতামুলক),
৪) ভোটারকার্ড (বাধ্যতামুলক),
৫) বৈধ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট -এর পাসবই এর প্রথম পাতার জেরক্স অথবা বাতিল চেক দিতে হবে (আধার কার্ড লিংক থাকতে হবে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ও সক্রিয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হতে হবে)।
৬) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং আধার-এর সাথে সংযুক্ত মোবাইল নম্বর দিতে হবে (বাধ্যতামুলক)।

কৃষক বন্ধু (নতুন) প্রকল্পের মাধ্যমে, কৃষকরা যেহেতু তাদের ১ একর বা তার বেশি জমি দিয়ে আবেদন করতে পারেন, তাদের জন্য সুবিধা রয়েছে সর্বাধিক ১০ হাজার টাকা প্রতি বছর। তবে, যদি ১ একর জমির কম থাকে, তাহলে তারা বছরে কমপক্ষে ৪ হাজার টাকা পাবেন। এই টাকা দুটি কিস্তিতে সমানভাবে দেওয়া হয়—একটি কিস্তি খরিফ মরশুমে, আর অপরটি রবি মরশুমে।

দমদম বিমানবন্দরে ১০ টাকার চা খেতে বিরাট ভিড়

কৃষক বন্ধু (নতুন) প্রকল্পে আবেদন করার পর, সেই আবেদনের স্থিতি অনলাইনে যাচাই করতে পারবেন। নিচের ধাপ গুলো ফলো করুন…
১) প্রথমে আপনাকে Krishak Bandhu Prakalpa এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আসুন।
২) এরপর নথিভূক্ত কৃষকের তথ্যে ক্লিক করুন।
৩) পরবর্তী পেজে আধার কার্ড নাম্বার কিংবা ভোটার কার্ড নাম্বার উল্লেখ করে চেক করুন।
৪) যদি এপ্রুভ হয়ে যায়, তাহলে নিচে সমস্ত কিছু দেখতে ও জানতে পারবেন।