বাড়ি প্রচ্ছদ পৃষ্ঠা 121

Food & Health 2024: খাবার বারবার গরম করলে কী হয়? জেনে নিন বিস্তারিত!

Food & Health: খাবার বারবার গরম করলে কী হয়? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর প্রতি ১০ জন মানুষের মধ্যে একজন অনিরাপদ খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই সমস্যাটি বিশেষ করে বয়স্ক মানুষ, গর্ভবতী নারী, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা, এবং অপেক্ষাকৃত কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তাই খাদ্য সুরক্ষা ও সঠিক খাবার গ্রহণের বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকা খুবই জরুরি!

যদি খাবার নিরাপদ না হয়, তাহলে তা শরীরের সুস্থতার জন্য সত্যিই হুমকিস্বরূপ হয়ে ওঠে। কারণ, খাবারে সামান্য গড়মিল হলেই পেটের পীড়াসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খাবার নির্বাচন এবং প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা খুবই জরুরি। নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।

বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে খাদ্যের কারণে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা চলতে থাকে।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, পরিবার কিছু সহজ উপায়ে খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে খাদ্যজনিত রোগবালাই থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে। এর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মেনে চলা উচিত, যাতে আমরা সুস্থ থাকতে পারি।

নিরাপদ খাবারের প্রথম ধাপ ‘আমাদের ঘর’

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া শুরু হওয়া উচিত আমাদের নিজ ঘর থেকেই।

কীভাবে রান্না করা বা কাঁচা খাবার সংরক্ষণ করতে হবে, খাবারের বিষক্রিয়া এড়াতে কী করণীয়, কিংবা একই খাবার বারবার গরম করলে এর গুণমান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কি না—এ ধরনের বিষয়ে শুরু থেকেই সচেতন থাকলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ এড়ানো সম্ভব।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা খাবার নিরাপদ রাখতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, কাঁচা ও রান্না করা খাবার আলাদা রাখা, খাবার ভালোভাবে রান্না করা, খাবার সঠিক তাপমাত্রায় রাখা, এবং রান্নার সময় নিরাপদ পানি ও কাঁচামাল ব্যবহার করা। এগুলো মেনে চললেই আপনি আপনার পরিবারকে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পারবেন।

রান্না করার সময় যেভাবে সতর্কতা মানতে হবে

রান্নার সময় নিজের এবং খাদ্যদ্রব্যের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে এর পাশাপাশি কাঁচা ও রান্না করা খাবারের মধ্যে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করাও জরুরি।

উদাহরণস্বরূপ, কাঁচা মাংস, সি ফুড, এমনকি ডিমের মতো খাবার থেকে রেডি-টু-ইট (যা এখনই খাওয়া যাবে) খাবারে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ এড়াতে কাঁচা ও রান্না করা খাবার আলাদা রাখা এবং সংরক্ষণের সময় সতর্ক থাকা প্রয়োজন, যাতে খাবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

তাই, যে বোর্ডে কাঁচা মাংস কাটা হয়, সেটি ভালোভাবে না ধুয়ে তাতে ফলমূল বা শাকসবজি কাটার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এটি খাদ্যের নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়া, মাংস, পোল্ট্রি, ডিম এবং সি ফুড রান্নার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে তা অন্তত ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রান্না করা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, খাবার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা যদি ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে এবং ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে থাকে, তবে খাবারে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। এই নিয়মগুলো মেনে চললে খাবার আরও নিরাপদ থাকবে এবং খাদ্যজনিত রোগ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।

খাবার বারবার গরম করলে কী হয়?

তাপমাত্রা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকলেও, অনেক সাধারণ মানুষ তা জানেন না। তাই অনেকেই ফ্রিজে রাখা খাবার বারবার গরম করে খান, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

ল্যাবএইড হাসপাতালের পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনিম এ বিষয়ে বলেন, “খাবার বারবার গরম করলে প্রথমত এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। দ্বিতীয়ত, এতে খাবারে ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। এই কারণেই খাবার সংরক্ষণ এবং গরম করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। এটি পেটের জন্য বেশ ক্ষতিকর হতে পারে, যার ফলে ডায়রিয়া বা বদহজমের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনিম আরও বলেন, “যদি খাবার বারবার গরম করা হয়, তাহলে খাবারের উপাদানগুলোতে রাসায়নিক পরিবর্তন হতে পারে, যার ফলে বিষাক্ত পদার্থ তৈরি হতে পারে। এটি দীর্ঘমেয়াদে ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দিতে পারে।

ফ্রিজে কীভাবে Food রাখতে হবে?

ফ্রিজে কীভাবে Food রাখতে হবে?, ফ্রিজের সহজলভ্যতার কারণে আমরা প্রায়শই খাবার ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করি। এটি এখন আমাদের দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, ফ্রিজে দীর্ঘদিন খাবার সংরক্ষণ করা উচিত নয়। কারণ, দীর্ঘ সময় ফ্রিজে রেখে দিলে খাবারের রং পরিবর্তন হয়, স্বাদে গন্ধ চলে আসে এবং পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়।

বিশেষ করে পচনশীল খাবারগুলোর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। এগুলো রান্নার দুই ঘণ্টার মধ্যে ফ্রিজে রাখতে হবে এবং সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে। তবে এসব খাবারকেও খুব বেশিদিন ফ্রিজে রেখে দেওয়া ঠিক হবে না।

মিজ তাসনিম এ বিষয়ে বলেন, গরমের সময় খাবার সঠিকভাবে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি, এবং বাসি খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। তিনি আরও সতর্ক করেন, “ফ্রিজে রাখা মানেই যে খাবার একেবারে ‘নিরাপদ’, তা কিন্তু নয়। বিশেষ করে গরমের এই সময়টায় লোডশেডিং বেশি হয়, ফলে ফ্রিজের খাবারেও ব্যাকটেরিয়া জন্ম নিতে পারে।” তাই, ফ্রিজে খাবার রাখলেও সেটি সঠিক নিয়মে সংরক্ষণ করতে হবে এবং লোডশেডিংয়ের সময় ফ্রিজের খাবারের ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।

ফ্রিজের তাপমাত্রা সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে এবং খাবার বাইরে দীর্ঘ সময় ফেলে রাখা উচিত নয়। আমরা বড়জোর দুই দিন ফ্রিজে খাবার রেখে তা খেতে পারি। এর পর অবশ্যই নতুন করে রান্না করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ফ্রিজ থেকে খাবার বের করেই সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া যাবে না। ফ্রিজ থেকে বের করার পর খাবারকে কিছুক্ষণ স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে তারপর গরম করতে হবে। আবার গরম করার পরও খাবার সঙ্গে সঙ্গে না খেয়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসতে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করা উচিত।

খাবার থেকে বিষক্রিয়া

আমাদের অনেকেই আছেন, যারা খাবার পলিথিন বা প্লাস্টিকের মোড়কে আনতে অভ্যস্ত। তবে এটি শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়, বিশেষত যখন গরম খাবার তাতে নেওয়া হয়।

প্লাস্টিক বা পলিথিনে গরম খাবার বা পানি রাখলে সঙ্গে সঙ্গেই রাসায়নিক বিক্রিয়া শুরু হয়, যার ফলে বিসফেলন-এ (BPA) তৈরি হয়। এই রাসায়নিকটি শরীরে প্রবেশ করে থাইরয়েড হরমোনের কার্যকারিতায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই, গরম খাবার পরিবহণ বা সংরক্ষণের জন্য প্লাস্টিক এড়িয়ে চলাই ভালো।

বিসফেনল-এ (BPA) একটি সাধারণ রাসায়নিক পদার্থ, যা সাধারণত প্লাস্টিকের পাত্র তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি মানুষের শরীরে নানা রকম ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এবং খাবার থেকে বিষক্রিয়া হতে পারে।

পুষ্টিবিদ মিজ তাসনিম বলেন, “বিসফেনল-এ থাইরয়েড হরমনের কার্যকারিতাকে বাধাগ্রস্ত করে। এটি মস্তিষ্কের গঠনের ওপরেও প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে, গর্ভবতী নারীদের রক্তের মাধ্যমে BPA ভ্রূণের শরীরে পৌঁছাতে পারে, যা ভ্রুণের ক্ষতি করে এবং বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে। এমনকি এর প্রভাবে শিশুও বিকলাঙ্গ হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।

এইসব বিষয় বিবেচনায় গরম খাবার পলিথিন বা প্লাস্টিকের মোড়কে নেওয়া উচিত নয়। তবে বাজার থেকে কাঁচা খাবার কিনতে গেলে প্লাস্টিনের ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু গরম খাবার বা পানীয়ের জন্য নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর বিকল্প খোঁজাটা জরুরি। স্বাস্থ্যবান জীবনযাপনের জন্য সচেতনতা এবং নিরাপদ খাবার নির্বাচন করতে হবে, যাতে আমরা নিজেদের এবং পরিবারের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে পারি।

পরিবারে খাদ্য নিরাপত্তার সুবিধা

বাসাবাড়িতে খাবারের নিরাপত্তার বিষয়টি মেনে চলা হলে কী কী সুবিধা হতে পারে, সে সম্বন্ধে কয়েকটি বিষয় চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যথা—

নিরাপদ খাবার আমাদের পরিবারের শিশুদের বেড়ে ওঠা ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি খাবার নিরাপদ হয়, তবে তা শিশুদের স্কুলে উপস্থিতি বাড়াতে সহায়ক এবং পরিণত বয়সে কর্মক্ষেত্রে তাদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে।

এছাড়া, নিরাপদ খাবার খেলে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার খরচও কমে যায়, কারণ স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা কম হয়। নিরাপদ খাবার কর্মক্ষেত্রে উপস্থিতি এবং উপার্জনক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। সব মিলিয়ে, নিরাপদ খাবার আমাদের শরীরের দীর্ঘমেয়াদী উন্নতির জন্য অপরিহার্য। সুতরাং, নিরাপদ খাবার নির্বাচন করা শুধু আমাদের স্বাস্থ্যেই নয়, বরং আমাদের ভবিষ্যৎও সুরক্ষিত করে।

salman khan today news: কপিলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, সাফ জানালেন সালমান খান

salman khan: ভারতের জনপ্রিয় কমেডি অনুষ্ঠান ‘কপিল শর্মা শো’তে রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে ব্যঙ্গ করার অভিযোগে তোলপাড় বিনোদন জগৎ। বিশেষ করে ‘একলা চলো’ মতো গভীর ও জনপ্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীতকে মজা করে উপস্থাপন করায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন অনেকে। কপিল শর্মার শোয়ের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।

এই বিতর্কের মূল কারিগর ক্রুষ্ণা অভিষেক, যিনি ‘দায়সারা’ ক্ষমা চাইলেও নেটিজেনদের ক্ষোভ থামেনি। বরং তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে কপিল শর্মার শো ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’। এর জেরে আইনি ঝামেলায় পড়তে হয়েছে শো-এর পুরো টিমকে। এই বিতর্কে নাম জড়িয়েছে সালমান খানেরও, যিনি শো-এর প্রযোজক। একদিকে লাগাতার প্রাণনাশের হুমকি, অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অবমাননার অভিযোগ — এমন পরিস্থিতিতে সালমানের(salman khan) টিমকেও মুখ খুলতে বাধ্য হতে হয়েছে।

বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছিল যে, ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’ সালমান খানের প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে জড়িত। এমনকি কেউ কেউ বলছিলেন, শোটি সালমানের প্রযোজনায় তৈরি হয়। এই গুঞ্জনের পরই বঙ্গবাসী মহাসভা ফাউন্ডেশন থেকে আইনি নোটিস পাঠানো হয়, যা দেখে নড়েচড়ে বসে সালমানের টিম।

বুধবার এক বিবৃতিতে বলিউড সুপারস্টার সালমান(salman khan) তরফ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, তিনি বা তার প্রযোজনা সংস্থা ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’-এর সঙ্গে আর কোনোভাবেই যুক্ত নন। এর মানে, কপিল শর্মার শোয়ের সঙ্গে এখন ভাইজানের কোনও সম্পর্ক নেই।

আগে টেলিভিশনে যখন এই শো সম্প্রচারিত হত, তখন তা সালমানের প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে তৈরি হত। তবে বর্তমানে শোটি নেটফ্লিক্সের অধীনে চলে গিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অবমাননার অভিযোগে সালমান খানের নাম জড়ানোর পরই তার টিম থেকে এই বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে, যাতে বিষয়টি নিয়ে কোনো ভুল ধারণা না থাকে।

বলিউডের সিনেমায় বাংলা ভাষা বা সংস্কৃতিকে খাটো করে দেখানো যেন এক পুরনো অভ্যাস! সম্প্রতি ‘ভুলভুলাইয়া ৩’ ছবিতে বাঙালি ভূত ‘মঞ্জুলিকা’র চরিত্র নিয়ে আপত্তি তুলেছে নেটিজেনদের একাংশ। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, “বাঙালিরা তুকতাক বা কালাজাদু করে — এই ভুল ধারণা কবে যাবে?”

এবার সমালোচনার কেন্দ্রে এসেছে ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’। হাস্যরসের নাম করে শোতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো মহান ব্যক্তিত্বকেও ব্যঙ্গ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি শোয়ের সঞ্চালক কপিল শর্মা এবং অতিথিরাও সেই মজায় মেতে ওঠেন। এই ঘটনার জেরে নেটিজেনদের ক্ষোভ আরও বেড়েছে, এবং বেশ কয়েকজন আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কপিলের শোয়ের বিরুদ্ধে।

India Safest Bank:রিজার্ভ ব্যাংকের তালিকায় ভারতের ৩টি নিরাপদ ব্যাংক, যেখানে টাকা থাকলে জীবনে কোনো ঝুঁকি নেই

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (Reserve Bank of India) সম্প্রতি দেশের সবচেয়ে নিরাপদ ব্যাংকের তালিকা প্রকাশ করেছে, যা “India Safest Bank” হিসেবেও পরিচিত। এই তালিকাটি “Domestic Systemically Important Banks” বা সংক্ষেপে D-SIB নামে পরিচিত। এই ব্যাংকগুলো দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যে, কোনো বড় অর্থনৈতিক সংকটের সময়ও এগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই ব্যাংকগুলোতে যাদের অ্যাকাউন্ট আছে, তাদের টাকা নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তার প্রয়োজন নেই।

D-SIB তালিকা এবং এর গুরুত্ব (India Safest Bank)

RBI প্রথমবার ২০১৪ সালে D-SIB তালিকা প্রকাশের নিয়ম চালু করে, যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৫ সালে SBI, ২০১৬ সালে ICICI ব্যাংক, এবং ২০১৭ সালে HDFC ব্যাংক এই তালিকায় যুক্ত হয়। প্রতি বছর এই তালিকাটি আপডেট করা হয় এবং ব্যাংকের আকার, আর্থিক সংযোগ এবং সিস্টেমে তাদের ভূমিকা অনুযায়ী শ্রেণীবদ্ধ করা হয়।

RBI-এর মতে, D-SIB তালিকায় থাকা ব্যাংকগুলো দেশের আর্থিক খাতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। যদি এই ব্যাংকগুলো কোনো অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে, তবে এর প্রভাব পুরো দেশের অর্থনীতির ওপর পড়তে পারে। এজন্য, RBI এই ব্যাংকগুলোর জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছে। এর মধ্যে অন্যতম প্রধান শর্ত হলো, বাড়তি মূলধন বজায় রাখা, যাতে যে কোনো সংকটের সময়ে তাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।

D-SIB তালিকায় থাকার যোগ্যতা

D-SIB তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোকে তাদের গুরুত্বের ভিত্তিতে অতিরিক্ত Common Equity Tier 1 (CET1) মূলধন এবং Capital Conservation Buffer (CCB) বজায় রাখতে হয়। RBI ব্যাংকগুলিকে তাদের আর্থিক গুরুত্ব অনুযায়ী তিনটি আলাদা ক্যাটেগরি বা বালতিতে শ্রেণিবদ্ধ করেছে। ব্যাংক যত বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তত বেশি মূলধন সংরক্ষণ করতে হয়।

ভারতের নিরাপদ ব্যাংকের তালিকা

ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য কিছু ব্যাংককে “Domestic Systemically Important Banks” (D-SIB) বা নিরাপদ ব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই তালিকায় থাকা ব্যাংকগুলো এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, কোনো বড় অর্থনৈতিক সংকটের সময়ও এই ব্যাংকগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

 স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (SBI)

SBI (State Bank of India) ভারতের সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। এটি D-SIB তালিকার সর্বোচ্চ ক্যাটেগরি বা বালতি 4-এ স্থান পেয়েছে। RBI-এর নির্দেশনা অনুযায়ী, SBI-কে তার মোট মূলধনের অতিরিক্ত 0.80% Common Equity Tier 1 (CET1) মূলধন সংরক্ষণ করতে হয়। এই বাড়তি মূলধন সংরক্ষণের মূল কারণ হলো, সংকটের সময়েও ব্যাংকটি যাতে স্থিতিশীল থাকে এবং গ্রাহকদের টাকা সুরক্ষিত থাকে।

আইসিআইসিআই ব্যাংক (ICICI Bank)

ICICI ব্যাংক D-SIB তালিকার বালতি 1-এ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই ক্যাটেগরির ব্যাংকগুলিকে তুলনামূলকভাবে কম অতিরিক্ত Common Equity Tier 1 (CET1) মূলধন সংরক্ষণ করতে হয়, যা মাত্র 0.20%। ICICI ব্যাংক ভারতের অন্যতম বড় বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে পরিচিত এবং এটি গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের আর্থিক পরিষেবা প্রদান করে, যেমন লোন, ইনভেস্টমেন্ট, ক্রেডিট কার্ড, এবং ইন্টারনেট ব্যাংকিং। যেহেতু এটি D-SIB তালিকায় অন্তর্ভুক্ত, তাই RBI এই ব্যাংকটির উপর বিশেষ নজর রাখে।

এইচডিএফসি ব্যাংক (HDFC Bank)

HDFC ব্যাংক, দেশের অন্যতম বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাংক, D-SIB তালিকার বালতি 2-এ অন্তর্ভুক্ত। এই ক্যাটেগরির জন্য HDFC ব্যাংককে অতিরিক্ত 0.40% Common Equity Tier 1 (CET1) মূলধন সংরক্ষণ করতে হয়। এটি মূলত ব্যাংকের স্থিতিশীলতা এবং গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। HDFC ব্যাংক গ্রাহক পরিষেবার মান এবং আধুনিক প্রযুক্তিগত দক্ষতার জন্য সুপরিচিত, যা এটিকে দেশের শীর্ষ ব্যাংকগুলোর একটি করে তুলেছে।

Krishak Bandhu ID check 2024: কৃষক বন্ধু টাকা কবে ঢুকবে? কৃষক বন্ধু প্রকল্প ফর্ম আইডি স্ট্যাটাস চেক!

Krishak Bandhu ID check 2024: পশ্চিমবঙ্গের প্রান্তিক ও গ্রামীন কৃষকদের আর্থিক সাহায্যের জন্য চালু হয়েছে কৃষক বন্ধু প্রকল্প (Krishak Bandhu Scheme), যা মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান যোজনা (PM Kisan Yojana)-এর আদলেই তৈরি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার কৃষকেরা সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকেন। শুধু কৃষকরাই নয়, বাংলার মা-বোনেরাও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar Scheme) এর আওতায় প্রতি মাসে সরকারি ভাতা পান। এবার, কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা কবে ঢুকবে? এবং নতুন করে কিভাবে আবেদন করবেন? এইসব প্রশ্নের উত্তরসহ সমস্ত বিস্তারিত তথ্য আমরা আজকের প্রতিবেদনে তুলে ধরেছি। যারা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে চান, তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সব তথ্য রয়েছে এখানে। সুতরাং, দেরি না করে দেখে নিন কিভাবে আবেদন করবেন।

Krishak Bandhu Status Check

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন সামাজিক ও আর্থিক প্রকল্পের সূচনা করেছেন, যা রাজ্যের জনগণকে নানাভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে। এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হলো কৃষকবন্ধু প্রকল্প, যা ২০১৯ সালে শুরু হয়েছিল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের কৃষকরা সরাসরি আর্থিক সহায়তা পান, যা মূলত তাদের কৃষিকাজের খরচের জন্য দেওয়া হয়। কৃষকবন্ধু প্রকল্পের আওতায় একজন কৃষক বছরে সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক অনুদান পেতে পারেন।

Krishak Bandhu next installment date

কৃষকবন্ধু প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দুটি পর্যায়ে প্রদান করা হয়।

  1. খারিফ মরশুমের জন্য: এই সময়ে সাধারণত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে খারিফ শস্য চাষের জন্য আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়।
  2. রবি মরশুমের জন্য: অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে রবি শস্য চাষের সময় এই অনুদান প্রদান করা হয়।

এ বছর খারিফ মরশুমের জন্য রাজ্যের কৃষকরা ইতিমধ্যেই তাদের আর্থিক অনুদান পেয়ে গিয়েছেন। তবে এখন রবি মরশুমের জন্য কবে টাকা ব্যাংক একাউন্টে আসবে। সবকিছু সঠিক থাকলে, ডিসেম্বরের মধ্যেই রবি শস্যের জন্য পরবর্তী কিস্তির টাকা একাউন্টে জমা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

অন্যদিকে, যারা এখনও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা পাননি, তাদের জন্য সুখবর রয়েছে—সোমবারের মধ্যেই তারা তাদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা পেয়ে যাবেন। ফলে, এই প্রকল্পগুলি রাজ্যের সাধারণ মানুষ ও কৃষকদের জন্য আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

কৃষকবন্ধু প্রকল্পের একজন কৃষক কত টাকা আর্থিক অনুদান পাবেন

কৃষকবন্ধু প্রকল্পের আওতায় একজন কৃষক কত টাকা আর্থিক অনুদান পাবেন, তা নির্ভর করে তার চাষযোগ্য জমির পরিমাণের ওপর। নিচে একটি তালিকা দেওয়া হলো, যা থেকে বোঝা যাবে কত একর জমি থাকলে একজন কৃষক কত টাকা অনুদান পাবেন:

জমির পরিমাণ (একর)প্রতি কিস্তিতে অনুদান (টাকা)বার্ষিক মোট অনুদান (টাকা)
০.৪০ একর পর্যন্ত২,০০০ টাকা৪,০০০ টাকা
১.০০ একর পর্যন্ত৩,০০০ টাকা৬,০০০ টাকা
২.০০ একর পর্যন্ত৫,০০০ টাকা১০,০০০ টাকা

উদাহরণ:

যদি কোনো কৃষকের ০.৪০ একর জমি থাকে, তাহলে তিনি প্রতি কিস্তিতে ২,০০০ টাকা এবং বছরে মোট ৪,০০০ টাকা আর্থিক অনুদান পাবেন। এইভাবে, জমির পরিমাণ যত বেশি হবে, আর্থিক সহায়তার পরিমাণও তত বেশি হবে।

কৃষকবন্ধু প্রকল্পে জমির পরিমাণ অনুযায়ী আর্থিক অনুদানের তালিকা:

জমির পরিমাণ (একর)প্রতি কিস্তিতে অনুদান (টাকা)বার্ষিক মোট অনুদান (টাকা)হিসাবের নিয়ম
০.৫০ একর২৫০০ টাকা৫০০০ টাকা০.৫০ × ৫০ = ২৫০০ টাকা
০.৬০ একর৩০০০ টাকা৬০০০ টাকা০.৬০ × ৫০ = ৩০০০ টাকা
০.৭৫ একর৩৭৫০ টাকা৭৫০০ টাকা০.৭৫ × ৫০ = ৩৭৫০ টাকা
০.৯৯ একর৪৯৫০ টাকা৯৯০০ টাকা০.৯৯ × ৫০ = ৪৯৫০ টাকা
১.০০ একর বা তার বেশি৫০০০ টাকা১০,০০০ টাকাসর্বাধিক ৫০০০ টাকা প্রতি কিস্তিতে

উল্লেখ্য:

  • ১ একর বা তার বেশি জমির ক্ষেত্রে, প্রতি কিস্তিতে সর্বাধিক ৫০০০ টাকা এবং বছরে মোট ১০,০০০ টাকা দেওয়া হয়।
  • ১ একরের কম জমির জন্য, জমির পরিমাণকে ৫০ দিয়ে গুণ করে প্রতি কিস্তির টাকা নির্ধারণ করা হয়।

Krishak bandhu online Application

কৃষকবন্ধু প্রকল্পে আবেদন করতে হলে প্রথমেই কৃষকবন্ধু ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে। ফর্মটি পূরণ করে জমা করতে হবে। সাধারণত দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদন গ্রহণ করা হয়। এই ক্যাম্পগুলোতে গিয়ে আপনি সহজেই ফর্ম জমা দিতে পারবেন।

অনলাইনে আবেদন:

খুব শীঘ্রই অনলাইনে আবেদন করার সুবিধাও চালু হচ্ছে। এতে কৃষকদের আর ক্যাম্পে গিয়ে আবেদন জমা দিতে হবে না, ঘরে বসেই সহজে আবেদন করতে পারবেন।যারা অনলাইনে আবেদন করতে আগ্রহী, তারা নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে সরাসরি আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন। এখানে ক্লিক করুন আবেদন করতে

কিভাবে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের স্ট্যাটাস চেক করবেন?(Krishak Bandhu ID check 2024)

অনেকেই জানতে চান, কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকা কবে আপনার ব্যাংক একাউন্টে জমা হবে। আপনি খুব সহজেই নিজের আবেদন এবং পেমেন্টের স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন। নিচে ধাপে ধাপে প্রক্রিয়াটি দেখে নিন:

  • স্ক্রিনে আপনারকৃষক বন্ধু প্রকল্পের স্ট্যাটাস চেক করার সহজ উপায়:
  • আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা এসেছে কিনা, তা জানার জন্য আপনি সহজেই কৃষক বন্ধু পোর্টাল থেকে স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন। নিচে ধাপে ধাপে পদ্ধতি দেওয়া হল:
  • ১) প্রথমে কৃষক বন্ধু পোর্টালের ওয়েবসাইটে (krishakbandhu.net) যান।
  • ২) এরপর “নথিভুক্ত কৃষকের তথ্য” অপশনটি সিলেক্ট করুন।
  • ৩) আপনি স্ট্যাটাস চেক করতে ভোটার কার্ড বা আধার কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে, “আধার কার্ড” বা “ভোটার কার্ড” অপশনটি নির্বাচন করুন।
  • ৪) এরপর নির্ভুলভাবে আপনার ভোটার কার্ড বা আধার কার্ডের নম্বর প্রদান করুন।
  • ৫) স্ট্যাটাস চেক করার পরে যদি “Delete Farmer/ No Data Found” দেখায়, তাহলে আপনাকে নতুন করে আবেদন করতে হবে। এছাড়া, কেওয়ায়সি (KYC) জমা না দিলে আপনি প্রকল্পের টাকা পাবেন না।
  • এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি দ্রুত আপনার স্ট্যাটাস জানতে পারবেন। আবেদন এবং পেমেন্টের বিস্তারিত তথ্য দেখানো হবে।

স্ট্যাটাসে যদি “Delete Farmer/ No Data Found” লেখা থাকে, তাহলে কী করবেন?

  • যদি এই লেখাটি দেখা যায়, তাহলে আপনার আবেদন বাতিল হয়েছে বা ডেটা পাওয়া যাচ্ছে না।
  • এই অবস্থায়, আপনাকে নতুন করে আবেদন করতে হবে।
  • এছাড়া কেওয়াইসি (KYC) আপডেট করা বাধ্যতামূলক। কেওয়াইসি জমা না দিলে আপনি এই প্রকল্পের টাকা পাবেন না।

ইরানে হামলা চালাতে পারবে না ইসরায়েল: মন্তব্য সৌদি যুবরাজের

সৌদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান ইরানের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল ইরানের ভূখণ্ডে হামলা চালাতে পারবে না। আজ রিয়াদে অনুষ্ঠিত আরব লিগ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) যৌথ শীর্ষ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি। সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসরায়েলের হামলার ফলে ফিলিস্তিনের গাজা ও লেবাননের উদ্ভূত সংকটের সমাধান খোঁজা।

রিয়াদে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের কড়া নিন্দা জানান। তিনি ইসরায়েলের এই তৎপরতাকে “গণহত্যা” হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, “গাজা ও লেবাননে আমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যে হামলা চালাচ্ছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। যুবরাজ আরও উল্লেখ করেন, এই সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে এবং ইসরায়েলের আক্রমণ বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। তার বক্তব্যে গাজার জনগণের প্রতি সহমর্মিতা ও সমর্থনের স্পষ্ট বার্তা উঠে আসে।

রিয়াদে অনুষ্ঠিত এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে আরব লিগ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্যদেশগুলোর শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা তিনুবু, এবং লেবাননের প্রেসিডেন্ট নাজিব মিকাতি।

তবে এই সম্মেলনে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান উপস্থিত ছিলেন না। তিনি সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানকে ফোনকলে জানান, ইরানের পক্ষ থেকে সম্মেলনে প্রতিনিধিত্ব করবেন প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজা আরেফ। ইরানের প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও, দেশটির পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং সংকট মোকাবিলায় ইরানের অবস্থানকে তুলে ধরে। এই প্রতিনিধিত্ব মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনা নিরসনে একটি সমন্বিত সমাধানের গুরুত্বকে আরও জোরালো করে।

ভারতীয় রেলে কি কি চাকরি রয়েছে? টেকনিক্যাল, নন টেকনিক্যাল, অফিসার – সমস্ত তথ্য দেখে নাও

তোমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ভারতীয় রেলে চাকরি করতে চান, কিন্তু ঠিকমতো জানেন না কোন কোন পদে চাকরির সুযোগ রয়েছে। তোমাদের জন্যই আজকের প্রতিবেদনে ভারতীয় রেলের বিভিন্ন চাকরির তথ্য তুলে ধরা হবে। এখানে জানতে পারবে রেলের টেকনিক্যাল, নন-টেকনিক্যাল এবং অফিসার পদে চাকরির সমস্ত তথ্য। পাশাপাশি, জানাবে কী যোগ্যতা লাগবে, কোন পরীক্ষাগুলো দিতে হয়, এবং কীভাবে প্রস্তুতি নেবে। যদি তোমার স্বপ্ন হয় ভারতীয় রেলে চাকরি করা, তাহলে অবশ্যই এই প্রতিবেদনটি মনোযোগ দিয়ে পড়ো এবং সমস্ত তথ্য ভালোভাবে জেনে নাও।

Indian Railway Management Service: রেলওয়ে ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস

ভারতীয় রেল (Indian Railway) প্রতি বছর Indian Railway Management Service (IRMS) নামক একটি গ্রেড A সার্ভিসের জন্য একটি পরীক্ষার আয়োজন করে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়। IRMS মূলত টেকনিক্যাল চাকরি, যেখানে প্রার্থীদের টেকনিক্যাল দক্ষতা মূল্যায়ন করা হয়। তবে, নন-টেকনিক্যাল প্রার্থীদের জন্য একটি আলাদা পথ রয়েছে। তারা UPSC CSE (Union Public Service Commission Civil Services Examination) পরীক্ষার মাধ্যমে Indian Railway Management Service এ যোগদান করতে পারেন।

IRMS – অফিসার হিসাবে নিয়োগ পদ্ধতি

IRMS (Indian Railway Management Service) পরীক্ষাটি ভারতীয় রেলের গ্রেড A নিয়োগ পরীক্ষা, যা মূলত টেকনিক্যাল ক্ষেত্রের জন্য আয়োজিত হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রধানত Mechanical Engineering, Civil Engineering, Electrical Engineering এবং Telecommunication Engineering সহ বিভিন্ন টেকনিক্যাল ক্যাটাগরিতে প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়।

Non-Technical Post-এ নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের Civil Services পরীক্ষা দিতে হয়। এই পরীক্ষাটি তিনটি ধাপে হয়—Prelims, Mains এবং Interview। প্রতিটি ধাপে প্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাই করা হয় এবং শেষমেশ এই ধাপগুলোর মাধ্যমে নির্বাচিত প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয়।

ভারতীয় রেলে টেকনিক্যাল ও নন টেকনিক্যাল চাকরি

ক্যাটাগরিপরীক্ষানিয়োগের পদ
Technical (টেকনিক্যাল)RRB ALP (Assistant Loco Pilot), RRB JE (Junior Engineer)Junior Engineer (JE), Junior Engineer (Information Technology), Depot Material Superintendent (DMS), Chemical & Metallurgical Assistant (CMA), Assistant Loco Pilot, Technician প্রভৃতি
Non-Technical (নন টেকনিক্যাল)RRB Group D, RRB NTPC (Non-technical popular categories), RRB Ministerial & Isolated CategoriesJunior Clerk cum Typist, Account Clerk cum Typist, Junior Time Keeper, Trains Clerk and Commercial cum Ticket Clerk, Traffic Assistant, Goods Guard, Senior Clerk cum Typist, Station Master, Track Maintainer Grade-IV, Helper, Assistant Pointman প্রভৃতি

তোমাদের সুবিধার্থে বলে রাখি, ভারতীয় রেলে Technical (RRB JE, RRB ALP) এবং Non-Technical (RRB Group D, RRB NTPC) ক্যাটেগরির জন্য আলাদা আলাদা যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্য কিছু চাকরির যোগ্যতাগুলি একে একে তোমাদের জানাচ্ছি –

বিষয়লিঙ্ক
ভারতীয় রেলওয়ে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটindianrailways.gov.in
রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড (RRB Apply)rrbapply.gov.in

বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে ইডির হানা, ১৭ জায়গায় তল্লাশি চালানো হল কেন? জানুন বিস্তারিত।

বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে ইডির হানা। ইডি (ED) ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে, যা মূলত অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ এবং মানব পাচারের অভিযোগের তদন্তের অংশ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইডি-র ঝাড়খণ্ড অফিসের আধিকারিকরা ১৭টি স্থানে এই অভিযান পরিচালনা করছেন। জানা গেছে, কয়েক মাস আগে ঝাড়খণ্ডে কিছু বাংলাদেশি নারীর অবৈধ অনুপ্রবেশ ও পাচারের অভিযোগ উঠেছিল। সেপ্টেম্বর মাসে ইডি মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের (PMLA) আওতায় এই ঘটনা নিয়ে একটি মামলা দায়ের করে। অভিযোগ করা হয়েছে যে, এই অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালানের মাধ্যমে অপরাধমূলক অর্থ উপার্জন করা হয়েছে। এরই ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডে ইডি অভিযান শুরু করেছে, যার ফলে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

অভিযান চালায় এনআইএ (NIA)

গত সোমবার, অর্থাৎ ১১ই নভেম্বর, দেশের নয়টি রাজ্যে বড়সড় অভিযান চালিয়েছে এনআইএ (NIA)। এই অভিযান মূলত বাংলাদেশি ও আল কায়েদার (Al-Qaeda) সঙ্গে জড়িত নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়। তদন্তে জানা যায় যে, কিছু সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিক আল কায়েদার মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলিকে অর্থ সাহায্য দিচ্ছে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড দেশের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠছে। এনআইএ-র এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল এমন ব্যক্তিদের শনাক্ত করা, যারা দেশে অনুপ্রবেশ করে চোরাগোপ্তা কার্যক্রমে লিপ্ত এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে।

নির্বাচনী প্রচারে অনুপ্রবেশের প্রসঙ্গ তুলেছিল বিজেপি

সম্প্রতি নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির (BJP) শীর্ষ নেতারা রাজ্য সরকারকে অনুপ্রবেশকারীদের উৎসাহিত করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, এই অনুপ্রবেশের ফলে আদিবাসী-অধ্যুষিত এলাকাগুলির, বিশেষ করে সাঁওতাল পরগনা এবং কোলহান অঞ্চলের জনসংখ্যার ভৌগোলিক দৃশ্যপট পরিবর্তিত হয়েছে।

এই ইস্যু নিয়ে চর্চা চলছে কারণ ঝাড়খণ্ডে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ খুব কাছাকাছি। প্রথম ধাপে আগামী বুধবার ৪৩টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এবং দ্বিতীয় দফায় ২০শে নভেম্বর ৩৮টি আসনে ভোট হবে। এই ধরনের অভিযানের মাধ্যমে, বিজেপি নেতৃত্ব রাজ্যের নিরাপত্তা এবং জনসংখ্যার পরিবর্তনের বিষয়টি তুলে ধরে রাজনৈতিক ময়দানে নিজেদের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে চাইছে।

Bhool Bhulaiyaa 4: বড় ইঙ্গিত দিলেন কার্তিক আরিয়ান, এবার কি সত্যিই আসতে চলেছে ‘ভুল ভুলাইয়া ৪?

Bhool Bhulaiyaa 4: বর্তমানে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা কার্তিক আরিয়ান তার বহুল প্রশংসিত সিনেমা ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ (Bhool Bhulaiyaa 3) দিয়ে বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছেন। সিনেমাটি মুক্তির পর থেকেই দর্শকদের মন জয় করে একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে। মাত্র চার দিনের মধ্যে ভারতীয় বক্স অফিসে ১২৩.৫০ কোটি টাকা আয় করে নিয়েছে এই সিনেমাটি।

সিনেমাটি মুক্তির পরেই কার্তিক ভক্তদের জন্য একটি বড় চমক নিয়ে হাজির হন। সিনেমাটি মুক্তির মাত্র তিন দিন পরই কার্তিকের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটির ক্যাপশন দেখে ভক্তরা রীতিমতো অবাক হয়ে যান এবং সঙ্গে সঙ্গে জল্পনা শুরু হয়—‘ভুল ভুলাইয়া ৪’ (Bhool Bhulaiyaa 4) আসতে চলেছে কিনা!

ভক্তরা ভিডিওটি দেখে অনুমান করছেন যে, কার্তিক আরিয়ান হয়তো বড় কোনো ইঙ্গিত দিয়েছেন পরবর্তী সিক্যুয়েল নিয়ে। সিনেমার ভক্তরা এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, আরও কি চমক অপেক্ষা করছে তাদের জন্য? চলুন, জেনে নিই এই ভাইরাল ভিডিও এবং ‘ভুল ভুলাইয়া ৪’ নিয়ে গুঞ্জনের বিস্তারিত।

কার্তিক আরিয়ানের ভাইরাল ভিডিও (Kartik Aryan Viral Video)

গতকাল বলিউডের হার্টথ্রব কার্তিক আরিয়ান প্রেক্ষাগৃহে আকস্মিক উপস্থিত হয়ে ভক্তদের অবাক করে দিয়েছিলেন। এই বিশেষ মুহূর্তটি তিনি নিজেই ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, কার্তিক প্রযোজক ভূষণ কুমারের সঙ্গে মুম্বাইয়ের বিখ্যাত গেইটি গ্যালাক্সি থিয়েটারে উপস্থিত হন। মজার বিষয় হলো, ভিডিওতে কার্তিককে একটি বোর্ড হাতে নিয়ে ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়, যেখানে লেখা ছিল “হাউসফুল”।

তবে ভিডিওর চেয়েও বেশি চমকপ্রদ ছিল কার্তিকের ক্যাপশন। তিনি লেখেন, “নতুন প্রাসাদের দরজা খোলার সময় এসেছে।” এই রহস্যময় ক্যাপশন দেখে ভক্তরা হতবাক হয়ে যান এবং সঙ্গে সঙ্গেই জল্পনা শুরু হয়—‘ভুল ভুলাইয়া ৪’ কি তৈরি হতে চলেছে? কার্তিকের ক্যাপশন থেকে ধারণা করছেন, হয়তো নতুন প্রাসাদের দরজা বলতে ‘ভুল ভুলাইয়া’ সিরিজের পরবর্তী সিক্যুয়েলের ইঙ্গিতই দিয়েছেন তিনি।

কার্তিক এর ক্যাপশন ভক্তদের একটি বড় ইঙ্গিত দিয়েছে

কার্তিক আরিয়ান (Kartik Aryan) সত্যিই জানেন কীভাবে তার ভক্তদের মন ভরাতে হয়। তার মজার পোস্টগুলো প্রায়ই ভক্তদের মুখে হাসি ফোটায় এবং তাদের বিনোদন দেয়। সাম্প্রতিক ভিডিওর ক্যাপশন দেখে ভক্তদের মনে এখন নতুন আশা জেগেছে—‘ভুল ভুলাইয়া ৪’ (Bhool Bhulaiyaa 4) কি আসতে চলেছে? যদিও নির্মাতাদের তরফ থেকে এখনও এ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবে এই সম্ভাবনাকে ঘিরে দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে।

‘ভুল ভুলাইয়া’ ফ্র্যাঞ্চাইজির ইতিহাস কিন্তু বেশ আকর্ষণীয়। ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমায় অক্ষয় কুমার তার অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মাত করেছিলেন। এরপর ২০২২ সালে কার্তিক আরিয়ানের অভিনয়ে মুক্তি পায় ‘ভুল ভুলাইয়া ২’, যা বক্স অফিসে প্রথম সিনেমার চেয়ে বেশি সাফল্য পায় এবং নতুন প্রজন্মের দর্শকদের কাছ থেকে প্রচুর প্রশংসা কুড়োয়।

এখন চলছে কার্তিক আরিয়ানের ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’, যা দর্শকরা দারুণভাবে গ্রহণ করেছেন এবং সিনেমার প্রতি তাদের ভালোবাসা অব্যাহত রয়েছে। সিনেমাটি একের পর এক রেকর্ড ভেঙে চলেছে। ভক্তরা এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন—কার্তিকের ইঙ্গিত সত্যি হলে, শীঘ্রই হয়তো আমরা দেখতে পাব ‘ভুল ভুলাইয়া ৪’। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা, কার্তিক আরিয়ান এবং নির্মাতারা কবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবেন!

Sanjiv Khanna: ভারতের ৫১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ, জানুন তার পরিচয় ও কেরিয়ার

Sanjiv Khanna: আজ, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ভারতের ৫১ তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন জাস্টিস সঞ্জীব খান্না। গত ৭ নভেম্বর, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandracud) পদত্যাগ করার পর সঞ্জীব খান্নাকে এই সম্মানজনক পদে মনোনীত করা হয়। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁকে রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ পাঠ করান। জাস্টিস সঞ্জীব খান্না আগামী ২০২৫ সালের ১৩ মে পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁর জীবন এবং কেরিয়ার সম্পর্কে জানলে, বুঝতে পারা যায় যে তিনি ভারতীয় বিচারব্যবস্থার একজন অত্যন্ত অভিজ্ঞ এবং প্রতিষ্ঠিত বিচারক। আসুন, বিস্তারিতভাবে জানি কেমন ছিল তাঁর যাত্রা এবং কীভাবে তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ পদে পৌঁছালেন।

Supreme Court Chief Justice Sanjiv Khanna

জাস্টিস সঞ্জীব খান্নার জন্ম ১৯৬০ সালের ১৪ মে, দিল্লির একটি সম্মানিত পরিবারে। তাঁর বাবা দেবরাজ খান্না ছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারক। পারিবারিক পরিবেশ তাঁকে আইন এবং ন্যায়বিচারের প্রতি এক বিশেষ মনোভাব তৈরি করতে সাহায্য করেছিল। সঞ্জীব খান্না সেন্ট স্টিফেন কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করেন এবং তারপর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ল সেন্টার থেকে আইন নিয়ে উচ্চ শিক্ষার পাঠ সমাপ্ত করেন।

১৯৮৩ সালে আইনজীবী হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করার পর, জাস্টিস সঞ্জীব খান্না দিল্লি হাইকোর্টে এক উজ্জ্বল আইনজীবী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর দক্ষতা এবং বিচারব্যবস্থার প্রতি নিবেদন তাঁকে দ্রুত খ্যাতি এনে দেয়। ২০০৪ সালে তিনি দিল্লির ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরির (NCT) কৌশুলি হিসেবে কাজ শুরু করেন, যেখানে তিনি আরও বৃহৎ দায়িত্ব পালন করতে শুরু করেন।

এর পরের বছর ২০০৫ সালে, তাঁর আইনজীবী জীবনের সাফল্যের ফলস্বরূপ, তিনি দিল্লি হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০০৬ সালে, তিনি স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান এবং তাঁর বিচারক জীবন আরও উন্নতির দিকে এগিয়ে চলে। ২০১৯ সালে, তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান, যেখানে তিনি দেশের শীর্ষ আদালতের গুরুত্বপূর্ণ বিচারক হিসেবে কার্যক্রম শুরু করেন।

জাস্টিস সঞ্জীব খান্নার বিচারক জীবনের অন্যতম উল্লেখযোগ্য কাজ হলো জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপ সংক্রান্ত মামলার শুনানি। এই মামলার শুনানিতে তিনি সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, যা দেশব্যাপী আলোচনার জন্ম দেয়।

তাঁর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল নির্বাচনী বন্ড এবং আফগারি দুর্নীতি মামলার মতো নানান বিশাল এবং সমালোচিত মামলার বিচারে। এসব মামলায় তাঁর বিচারক পদ্ধতি এবং আইনের প্রতি অবিচল আস্থা বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের বিশ্বাসকে আরো মজবুত করেছে। জাস্টিস খান্নার বিচারে তাঁর গভীর আইনি জ্ঞান এবং ন্যায্যতার প্রতি অটল মনোভাব প্রমাণিত হয়েছে, যা তাকে বিচার ব্যবস্থার অন্যতম শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

আজকের শপথ গ্রহণের মাধ্যমে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ভারতের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির পদে আসীন হলেন। তাঁর দীর্ঘ এবং সফল কেরিয়ার বিচারব্যবস্থার জন্য এক বিশাল অবদান হিসেবে বিবেচিত হবে। বিচারপতি খান্না যে দক্ষতা, নিরপেক্ষতা এবং ন্যায়বিচারের প্রতি অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করেছেন, তা সুপ্রিম কোর্টের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর নেতৃত্বে আশা করা হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্ট আরও শক্তিশালী হবে এবং ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক স্থাপন করবে।

পশ্চিমবঙ্গে আধার অপারেটর/সুপারভাইজার নিয়োগ 2024 – জেনে নিন আবেদন পদ্ধতি ও যোগ্যতা!

CSC ই-গভর্ন্যান্স সার্ভিসেস ইন্ডিয়া লিমিটেডের অধীনে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন আধার সেবা কেন্দ্রে (ASK) আধার অপারেটর / সুপারভাইজার পদে কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। এই নিয়োগ সম্পূর্ণ চুক্তিভিত্তিক, যা রাজ্যের প্রতিটি জেলায় করা হবে। যারা আধার পরিষেবায় কাজ করতে আগ্রহী, তাদের জন্য এটি একটি দারুণ সুযোগ।

আধার অপারেটর/সুপারভাইজার পদে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলায় এই পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যেখানে প্রার্থীদের স্থানীয় আধার সেবা কেন্দ্রে কাজ করার সুযোগ থাকবে।

আজকের প্রতিবেদনে দেখে নিন, এই পদে আবেদন করার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে, বয়স কত থাকতে হবে প্রার্থীদের, মাসিক বেতন কত টাকা করে,আধার অপারেটর/সুপারভাইজার পদে কিভাবে আবেদন করবেন এবং আবেদনের শেষ তারিখ কবে? বিস্তারিত ভালো ভাবে দেখে নিন আজকের প্রতিবেদনে।

এই পদে আবেদন করার জন্য, আবেদন কারী প্রার্থীদের বয়স থাকতে হবে কমপক্ষে 18 বছর বয়সের মধ্যে।

আধার অপারেটর পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের বেতন সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি। অর্থাৎ, বেতন কত টাকা হবে, তা নিয়োগকারী সংস্থা পরবর্তীতে নির্ধারণ করবে বা চুক্তির ভিত্তিতে স্থির করা হবে।

আধার অপারেটর পদে আবেদন করার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ অথবা মাধ্যমিক পাশের সাথে 2 বছরের ITI অথবা মাধ্যমিক পাশের সাথে 3 বছরের পলিটেকনিক ডিপ্লোমা থাকতে হবে। এছাড়া, প্রার্থীদের UIDAI দ্বারা অনুমোদিত পরীক্ষা ও প্রত্যয়নকারী সংস্থা থেকে আধার অপারেটর/সুপারভাইজার শংসাপত্র এবং প্রাথমিক কম্পিউটার দক্ষতা থাকতে হবে।

আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীদের আবেদন করতে হবে অনলাইনে। এজন্য প্রথমে cscspv.in এর অফিসিয়াল পোর্টালে যেতে হবে। এরপর “Career” অপশনে ক্লিক করুন। তারপর “West Bengal Aadhaar Supervisor/Operator” এর পাশে থাকা “Apply Now” বাটনে ক্লিক করুন এবং সঠিকভাবে আবেদন ফর্মটি পূর্ণ করুন। আবেদনের শেষ তারিখ ৩০/১১/২০২৪।

West Bengal Aadhaar Supervisor/Operator Recruitment Notification 2024Download
West Bengal Aadhaar Supervisor/Operator Job Online Apply Link 2024Apply