কুশল দাসগুপ্ত,শিলিগুড়ি: বরফে ঢাকা উত্তর সিকিম, উত্তর সিকিমের সৌন্দর্য যেন একেবারে স্বর্গের মতো হয়ে উঠেছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পড়া ভারী বরফে লাচুং, জেমলিং, এবং ডুরা পুরো সাদা চাদরে মোড়া। দ্বিতীয় সপ্তাহেও সেই বরফের মোহনীয়তা কমেনি। পর্যটকরা সিকিমের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ব্যস্ত। আবহাওয়া যদিও খুব খারাপ নয়, কিন্তু শীতের কামড় বেশ তীব্র।
সকালবেলা কুয়াশার আস্তরণ সরে যেতে বেশ সময় লাগছে, প্রায় দুপুর গড়িয়ে একটার পরই পরিষ্কার আকাশ দেখা যাচ্ছে। তবে পর্যটকরা বলছেন, এই শীতেও সিকিমে তাদের ভ্রমণ একেবারে সার্থক। গত বছর উত্তর সিকিমের বিপর্যয়ের কারণে পর্যটন কার্যত থমকে ছিল, তবে এবার বিদেশি পর্যটকদের উপস্থিতি আরও বেশি।
তবে ঘন কুয়াশা এবং অত্যন্ত ঠান্ডার কারণে সিকিমের কিছু হোটেল সাময়িকভাবে বুকিং বন্ধ রেখেছে। বরফে ঢাকা রাস্তায় গাড়ি চলাচলে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় কিছু এলাকায় পর্যটকদের হোটেল পর্যন্ত পৌঁছাতে দেওয়া হচ্ছে না। হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তারা অতিথিদের নিরাপত্তার স্বার্থে এমন ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এদিকে, প্রচণ্ড ঠান্ডার জন্য সিকিমের স্থানীয় বাসিন্দারাও সমস্যায় পড়ছেন। পর্যটকদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে চিকিৎসকদের বিশেষ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
উত্তরের মতোই দক্ষিণ সিকিমেও শীতের প্রকোপ থাকলেও তুলনামূলক কম পর্যটক থাকার কারণে প্রশাসন সেভাবে কঠোর নিয়ম আরোপ করেনি। তবে বড়দিন এবং নববর্ষের সময় সিকিমে পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতে সিকিম সরকার আগাম সতর্কতা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে।