Operation Sindoor: ভারতীয় সেনার গোপন হামলায় কাঁপল জঙ্গিদের ঘাঁটি, পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের রক্ত যে বিফলে যাবে না—তা প্রমাণ করেই ছাড়ল ভারত। শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে এক গোপন অভিযান চালাল ভারতীয় সেনা। এই অভিযানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তত ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেনার তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা একটি ছবিতে লেখা ছিল—“Justice is served”, যার সঙ্গে ছিল হ্যাশট্যাগ #PahalgamAttack। অর্থাৎ স্পষ্ট বার্তা—এই অভিযানের মাধ্যমে শহিদদের প্রতি দেওয়া হল কঠিন জবাব। এদিকে আজ, বুধবার, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সামরিক মহড়ার আয়োজন করেছে ভারতীয় সেনা।
ভারতের হামলায় পাকিস্তান নিন্দা করছেন। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের মহাপরিচালক (আইএসপিআর) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, আজাদ কাশ্মীরের কোটলি, বাহওয়ালপুর এবং মুজাফ্ফরাবাদে কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে ভারত।
স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে জানান, “কিছুক্ষণ আগেই ভারত বাহাওয়ালপুরের আহমেদ পূর্ব এলাকার সুবহানুল্লাহ মসজিদ, কোটলি এবং মুজাফফরাবাদের তিনটি স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে।”
পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, ভারতের হামলায় (অপারেশন সিঁদুর) এখন পর্যন্ত অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ১২ জন আহত হয়েছেন। এই খবর ঘিরে দুই দেশের সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানি সূত্রের দাবি, এই হামলার প্রতিশোধ নিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী একটি ভারতীয় ব্রিগেড সদর দফতরে পাল্টা আঘাত হানে এবং সেটি ধ্বংস করে দেয়। যদিও এখন পর্যন্ত ভারতের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য আসেনি।
মঙ্গলবার গভীর রাতে মুরিদকে, কোটলি, বাহওয়ালপুর ও মুজফ্ফরাবাদে টার্গেটেড ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। মুরিদকে-তে অবস্থিত লস্কর-ই-তৈবার সদর দপ্তর এবং বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি ছিল মূল লক্ষ্য। সেনা সূত্র জানায়, শুধুমাত্র জঙ্গি ঘাঁটিতেই হামলা হয়েছে, কোনও পাকিস্তানের সামরিক অবকাঠামোকে নিশানা করা হয়নি।
ভারতের এই অভিযানের পর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ৪৮ ঘণ্টার জন্য লাহোর ও শিয়ালকোট বিমানবন্দর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকলেও সরাসরি প্রতিক্রিয়া না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, “উপযুক্ত সময় হলে জবাব দেওয়া হবে।” অন্যদিকে, হামলার পরপরই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ (পূর্বের টুইটার) লেখেন, “ভারত মাতা কী জয়।”