Homeopathic Medicine: “হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার প্রতি অনেকের অগাধ বিশ্বাস রয়েছে। তবে, চিকিৎসার সময় কিছু সাধারণ ভুল করা হয়, যা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার পথকে দীর্ঘায়িত করে। তাই, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করার সময় সতর্ক থাকতে হবে এবং সঠিক নিয়মগুলি মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিতে চান, তাহলে নিচের বিষয়গুলোর প্রতি নজর দিন, যাতে আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন!
যে নিয়মগুলি আপনাকে মেনে চলতে হবে
ওষুধ নেওয়ার আগে ও পরে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন: হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার ১০ মিনিট আগে কিংবা পরে কিছু খাবেন না, কারণ এতে ওষুধের কার্যকারিতা কমে যায়।
নেশাজাতীয় দ্রব্য Avoid করুন: বর্তমানে যদি আপনি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করান, তাহলে নেশা জাতীয় কোনো দ্রব্য গ্রহণ করবেন না। এসব পদার্থ হোমিওপ্যাথি ওষুধের কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
হাতের তালুর মধ্যে নেবেন না: হোমিওপ্যাথি ওষুধ কখনো হাতের তালুর মধ্যে নেবেন না, কারণ এতে স্পিরিট থাকে, যা দ্রুত উড়ে যায়।
শিশির মুখে করে খাওয়ার পরামর্শ: হোমিওপ্যাথি ওষুধ শিশির মুখে করে কিংবা কাগজের মধ্যে নিয়ে খাওয়া উচিত।
মুখ ধোয়া এবং কুলকুচি করুন: ওষুধ খাওয়ার আগে ভালো করে মুখ ধুয়ে ও কুলকুচি করে নিন।
টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন: হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেলে টক জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়, কারণ এতে ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট হতে পারে। চা বা কফিও এড়ানো ভালো।
অ্যালোপ্যাথি বা আয়ুর্বেদিক ওষুধের সঙ্গে হোমিওপ্যাথি মেশাবেন না: অন্য কোনো চিকিৎসার ওষুধের সঙ্গে হোমিওপ্যাথি ওষুধ কখনোই নেবেন না, এতে এর কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অন্য রোগীর ওষুধ ব্যবহার করবেন না: যদি আপনার রোগ একই হয়, তবুও অন্য কোনো রোগীর হোমিওপ্যাথি ওষুধ গ্রহণ করবেন না। কারণ, প্রতিটি মানুষের শারীরিক অবস্থা এবং রোগের ধরন অনুযায়ী ওষুধের প্রকার ভিন্ন হয়। তাই অন্যের ওষুধ ব্যবহার করলে আপনার উপকার হওয়ার বদলে ক্ষতি হতে পারে।
ওষুধ রাখার জায়গা: হোমিওপ্যাথি ওষুধের শিশিটি এমন স্থানে রাখুন, যেখানে সরাসরি রোদ পড়বে না। রোদ ও উচ্চ তাপমাত্রা ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট করতে পারে।
ঢাকনা খুলে রাখা যাবে না: ওষুধের ঢাকনা কখনোই খুলে রাখবেন না। সবসময় ওষুধগুলো ঠান্ডা, শীতল ও অন্ধকার জায়গায় রেখে দিন। এভাবে রাখলে ওষুধের গুণাগুণ অটুট থাকবে।