WBBPE Primary TET: পশ্চিমবঙ্গের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বড় সুখবর! রাজ্যে আবারও অনুষ্ঠিত হতে চলেছে WBBPE Primary TET তথা প্রাইমারি টেটের নিয়োগ প্রক্রিয়া। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতে পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবের কারণে, নতুন শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। খুব সম্ভবত ডিসেম্বর মাসেই এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হতে পারে। ইতিমধ্যেই জেলাভিত্তিকভাবে স্কুলগুলিকে শূন্য পদের সংখ্যা হিসাব করে পর্ষদকে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই শুরু হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া।
Table of Contents
WBBPE Primary TET Primary Teacher Recruitment
২০২৪ সালের প্রাইমারী টেট পরীক্ষা বন্ধ কেন?
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রাথমিক স্তরের টেট পরীক্ষা আর অনুষ্ঠিত হবে না। এর মূল কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, গত বছরগুলিতে যারা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা। ২০২২ ও ২০২৩ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হবে, যাতে দ্রুত শিক্ষক সংকট কাটানো যায়। যদিও নতুন টেট পরীক্ষার স্থগিতাদেশে কিছু প্রার্থী হতাশ হয়েছেন, তবে এই নিয়োগের খবর তাদের জন্য আশার আলো নিয়ে এসেছে।
জেলাভিত্তিক শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ইতিমধ্যে স্কুল শিক্ষাদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে, প্রতিটি জেলার জন্য আলাদা শূন্যপদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। এর ফলে সহজেই বোঝা যাবে, কোন কোন বিদ্যালয়ে কতজন শিক্ষকের প্রয়োজন।এই পদক্ষেপের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তালিকা প্রস্তুত হলে শিক্ষক সংকট সমাধানে গতি আসবে এবং যথাযথ স্থানে শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে।
নিয়োগের প্রক্রিয়ায় অগ্রাধিকার কারা পাবেন?
Primary TET নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এবার মূলত ২০২২ এবং ২০২৩ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদেরকেই প্রথমে নিয়োগের সুযোগ দেওয়া হবে। যারা ইতিমধ্যেই টেট উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগের অপেক্ষায় ছিলেন, তাদের জন্য এটি একেবারে সুসংবাদ। শূন্যপদ অনুযায়ী এই প্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগের মাধ্যমে স্কুলগুলিতে শিক্ষক সংকট দূর করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, বর্তমানে স্কুল সার্ভিস কমিশনের অধীনে উচ্চ প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। প্রাথমিক স্তরের নিয়োগ প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর, উচ্চ প্রাথমিক স্তরের নিয়োগের কাজও দ্রুত শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, ২০১৭ এবং ২০২১ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের অনেকেই এখনও চাকরি পাননি। এই অবস্থায় নতুন করে টেট পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।