ফের পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব! জানুয়ারির শেষ হলেও শীতের দেখা নেই রাজ্যে। শীতপ্রেমীরা হালকা ঠান্ডাতেই মনকে বুঝিয়ে নিচ্ছেন, কিন্তু সেটাও বেশ ক্ষণস্থায়ী। দুপুরের দিকে যদি কেউ গরম পোশাক পরে বের হয়, কিছুক্ষণ পরেই গরমে হাঁসফাঁস করতে হচ্ছে। এই ঠান্ডা-গরমের দোলাচলে বেশ বিপাকে পড়েছেন সবাই। এর ফলে সর্দি-কাশি ও জ্বরের প্রকোপও বাড়ছে।
গত কয়েকদিন ধরে শহরের অলিগলি ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এসে শীতের পর্দা সরিয়ে দিলেও, কুয়াশার দাপট বেড়েই চলেছে। আর এই পরিস্থিতিতে আগামীকাল রবিবার ফের নতুন একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবাহিত হবে, যা পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের উপর প্রভাব ফেলবে। অন্যদিকে, উত্তর ভারতে রয়েছে জেট স্ট্রিম উইন্ড, মধ্যপ্রদেশ ও পূর্ব বাংলাদেশে ঘূর্ণাবর্ত এবং কেরল উপকূলে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। এই আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে ফেব্রুয়ারির আগেই শীতটি বিদায় নিতে চলেছে। তবে সরস্বতী পুজো পর্যন্ত হালকা শীতের আমেজ থাকবে, তারপর ধীরে ধীরে শীতের প্রকৃতির পরিবর্তন শুরু হবে।
দক্ষিণবঙ্গে আজকের আবহাওয়া
আজ, শনিবার, উইকেন্ডের দিন কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলার আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলাতেই বৃষ্টি হবে না। অর্থাৎ, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে, ঘন কুয়াশার কারণে কিছু জেলায় দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের নিচে চলে যেতে পারে। দুপুরের দিকে আকাশ পরিষ্কার থাকবে।
উত্তরবঙ্গে আজকের আবহাওয়া
দক্ষিণবঙ্গের মতোই আজ উত্তরবঙ্গেও শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা জেলায় বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে, আগামী মঙ্গলবার দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ের কিছু অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে, তবে বাকি ছ’টি জেলা শুষ্ক থাকবে। আজ সকাল থেকেই দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুর ঘন কুয়াশার মধ্যে ঢেকে গেছে।