আরজি কর কাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। দীর্ঘ ১৬২ দিনের বিচারপ্রক্রিয়া শেষে চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি শিয়ালদহ আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। বিচারক অনির্বাণ দাস সঞ্জয়ের শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। তবে এখানেই শেষ নয়! রাজ্য সরকার এবং CBI সঞ্জয়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ফাঁসির দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও চাঞ্চল্য! এবার মালদহে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে অসুস্থ যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচক থানার অন্তর্গত একটি প্রত্যন্ত গ্রামে। নির্যাতিতা যুবতী দীর্ঘদিন ধরে পেটে ব্যথার সমস্যায় ভুগছিলেন এবং বর্তমানে বাবার বাড়িতেই ছিলেন। অসুস্থ মেয়েকে সুস্থ করার আশায় তার মা গ্রামেরই এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে ডেকে পাঠান। অভিযুক্ত সেই সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম পঙ্কজ মণ্ডল, যিনি মানিকচক থানার অধীনেই কাজ করতেন। পরিবারের অভিযোগ, খবর পেয়ে পঙ্কজ যুবতীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং জানান যে তিনি ঝাড়ফুঁক করে অসুস্থ মহিলাকে সুস্থ করতে পারেন। এতে পরিবারের সদস্যরা আশার আলো দেখেন এবং সেই বিশ্বাসেই শুরু হয় তোড়জোড়।
মানিকচক থানায় অভিযোগ করে পরিবার
ঝাড়ফুঁকের নাম করে বিশ্বাস অর্জন করেছিল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার। জানা গেছে, পরিবারের লোকজনকে সে গঙ্গার জল আনতে বলে, আর তাঁরা বিশ্বাস করে সেটাই করতে যান। এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে সেই সিভিক ভলান্টিয়ার বাড়ির এক ঘরে নিয়ে গিয়ে অসুস্থ মহিলাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর নির্যাতিতা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফেরার পর, তিনি মাকে পুরো ঘটনা জানান। এরপর আর দেরি না করে পরিবারের সদস্যরা সোজা মানিকচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
শুক্রবার সকালে নির্যাতিতার পরিবার মানিকচক থানায় গিয়ে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ দ্রুত তদন্তে নামে এবং এলাকা থেকেই অভিযুক্ত পঙ্কজ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এবং অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join JKNEWS24 Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join NEWS24 |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |