আমরা অনেকেই কর্মজীবী, ব্যস্ততা কিংবা শারীরিক কারণে সারারাত জেগে ইবাদত করতে পারি না। কিন্তু চিন্তার কিছু নেই! আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের জন্য এমন কিছু ছোট ছোট আমলের নির্দেশনা দিয়েছেন। আজ আমরা শবে কদরের সেই বিশেষ আমলগুলো শেয়ার করব, যাতে আপনি সহজেই এই বরকতময় রাতের ফজিলত অর্জন করতে পারেন। আসুন, জেনে নেই কীভাবে অল্প সময়েই বেশি সওয়াব লাভ করা সম্ভব!
এশা ও ফজরের সালাত জামাতে আদায় করা
সহিহ মুসলিমের এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন— “যে ব্যক্তি এশার নামাজ জামাতের সাথে আদায় করবে, আল্লাহ তাকে অর্ধরাত জেগে এবাদত করার সওয়াব দান করবেন। আর যে ব্যক্তি এশা ও ফজর উভয় সালাত জামাতে আদায় করবে, আল্লাহ তাকে সারারাত এবাদত করার সমান সওয়াব দান করবেন।
ইমামের সঙ্গে এশা ও তারাবির সালাত সম্পূর্ণ আদায় করা
তিরমিজি ও আবু দাউদের হাদিসে বর্ণিত হয়েছে—যে ব্যক্তি ইমামের সঙ্গে রাতের সালাত (এশা ও তারাবি) আদায় করে এবং ইমাম চলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে, আল্লাহ তাকে সারারাত জেগে ইবাদত করার সমান সওয়াব দান করেন।
রাতের যেকোনো সময় ১০০ আয়াত তেলাওয়াত করা
জামে তিরমিজির একটি হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন—যে ব্যক্তি রাতে ১০০ আয়াত তিলাওয়াত করে, আল্লাহ তাকে সারারাত ইবাদত করার সমান সওয়াব দান করেন।
এবাদতের নিয়তে ঘুমানো
অনেক সময় আমরা ইবাদত করার নিয়ত করি, কিন্তু ক্লান্তি বা গভীর ঘুমের কারণে উঠতে পারি না। কিন্তু জানেন কি? শুধুমাত্র এই সদিচ্ছার জন্যও আল্লাহ আমাদের সারারাত ইবাদতের সওয়াব দান করেন! হাদিসে বলা হয়েছে, আল্লাহ সুবহানাতায়ালা এমন ব্যক্তির ঘুমকে সাদাকা বা উপহার হিসেবে গ্রহণ করেন।