সৌদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান ইরানের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল ইরানের ভূখণ্ডে হামলা চালাতে পারবে না। আজ রিয়াদে অনুষ্ঠিত আরব লিগ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) যৌথ শীর্ষ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন তিনি। সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসরায়েলের হামলার ফলে ফিলিস্তিনের গাজা ও লেবাননের উদ্ভূত সংকটের সমাধান খোঁজা।
রিয়াদে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের কড়া নিন্দা জানান। তিনি ইসরায়েলের এই তৎপরতাকে “গণহত্যা” হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, “গাজা ও লেবাননে আমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যে হামলা চালাচ্ছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। যুবরাজ আরও উল্লেখ করেন, এই সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে এবং ইসরায়েলের আক্রমণ বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। তার বক্তব্যে গাজার জনগণের প্রতি সহমর্মিতা ও সমর্থনের স্পষ্ট বার্তা উঠে আসে।
রিয়াদে অনুষ্ঠিত এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে আরব লিগ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্যদেশগুলোর শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা তিনুবু, এবং লেবাননের প্রেসিডেন্ট নাজিব মিকাতি।
তবে এই সম্মেলনে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান উপস্থিত ছিলেন না। তিনি সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানকে ফোনকলে জানান, ইরানের পক্ষ থেকে সম্মেলনে প্রতিনিধিত্ব করবেন প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজা আরেফ। ইরানের প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও, দেশটির পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং সংকট মোকাবিলায় ইরানের অবস্থানকে তুলে ধরে। এই প্রতিনিধিত্ব মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনা নিরসনে একটি সমন্বিত সমাধানের গুরুত্বকে আরও জোরালো করে।