Sunday, November 16, 2025

JKNEWS24 ➠ One Stop Solution for Bangla News & Bangla Khabar !

SBI ও Yes Bank-এ...

দেশের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী সংস্থা, লাইফ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (LIC), সম্প্রতি একটি...

Weather News West Bengal:...

কার্তিক মাস শেষ হতে না হতেই রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে শীতের আমেজ। সকালবেলা...

ধোনি, রিচা! সেনা ও...

ভারতের ক্রীড়া ইতিহাসে বিশেষ করে ক্রিকেটের ময়দানে বহু তারকা নিজেদের প্রতিভা ও নিষ্ঠা...
Homeলাইফস্টাইল খবরস্বাস্থ্যসিজারের পর মায়ের যত্ন কিভাবে করবেন? ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ করণীয় যা জানা দরকার

সিজারের পর মায়ের যত্ন কিভাবে করবেন? ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ করণীয় যা জানা দরকার

- Advertisement -

আরও পড়ুন

- Advertisement -
- Advertisement -

সিজারের পর মায়ের যত্ন: সিজারের পর একজন মায়ের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় আমরা জানি না ঠিক কীভাবে যত্ন নিতে হবে, ফলে নানা জটিলতা দেখা দেয়। আসলে, সিজারের পর মায়ের শরীর দুর্বল থাকে এবং সঠিক যত্ন না নিলে ক্ষত ভালো হতে দেরি হয়, আবার ইনফেকশনও হতে পারে। তাই এই সময়টায় পরিবারের সবার উচিত মায়ের পাশে থেকে তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সাহায্য করা। যদি সঠিক নিয়ম মেনে যত্ন নেওয়া যায়, তবে মা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবেন।

তাহলে আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন সিজারের পর মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত। সন্তান জন্মের আগে ও পরে সিজারিয়ান মায়ের যত্ন কেমন হওয়া উচিত সিজারের পর মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন এ বিষয়গুলো সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। 

অবশ্যই পড়ুন:  Cervical Cancer Early Signs: জরায়ুমুখ ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ!

সন্তান জন্মের আগে ও পরে সিজারিয়ান মায়ের যত্ন কেমন হওয়া উচিত 

সন্তান জন্মের আগে ও পরে সিজারিয়ান মায়ের যত্ন কেমন হওয়া উচিত এগুলো জেনে রাখা খুবই প্রয়োজন কারণ সন্তান জন্মের আগে মায়ের অনেক যত্ন নিতে হয় আর যদি সঠিক যত্ন না নিতে পারেন তাহলে এতে করে মা এবং সন্তান দুজনের জন্য এটা ক্ষতিকর হতে পারে। তাই আগে আপনারা জেনে নিন সন্তান জন্মের আগে মায়ের কিভাবে যত্ন নিতে হবে। 

সব খবর মোবাইলে পেতে Whatsapp গ্রুপে জয়েন্ট করন -

WhatsApp Group Join Now

👉 সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার: একজন গর্ভবতী মায়ের যত্নের সবচেয়ে বড় অংশ হলো স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। কারণ মা যা খান, সেটাই গর্ভের সন্তানের কাছে পুষ্টি হিসেবে পৌঁছায়। তাই ফল, শাকসবজি, দুধ, ডাল, মাছ, ডিম ও মাংসের মতো পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে মা সুস্থ থাকবেন আর শিশুও সঠিকভাবে বেড়ে উঠবে।

👉 প্রসবের তারিখ গণনা: গর্ভাবস্থায় সন্তানের সম্ভাব্য জন্ম তারিখ জানা খুব জরুরি। এতে মা ও পরিবারের সবাই আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে পারবেন। এজন্য নিয়মিত ডাক্তারের কাছে চেকআপ করাতে হবে এবং নিজেরও একটি আনুমানিক তারিখ হিসাব করে রাখা উচিত। এতে হঠাৎ কোনো বিপত্তি এড়ানো যায়।

👉 সঠিক সময়ে টিকা গ্রহণ: গর্ভবতী মায়ের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে টিকা নেওয়া খুবই প্রয়োজনীয়। বিশেষ করে গর্ভাবস্থার ৫ থেকে ৮ মাসের মধ্যে দু’টি টিটি (TT) টিকা নেওয়া উচিত। এটি মা ও শিশুর উভয়ের জন্য সুরক্ষা দেয় এবং ভবিষ্যতে জটিলতা কমায়।

👉 ভারী কাজ এড়িয়ে চলুন: গর্ভবতী মহিলাকে দিয়ে কোনো ভারী কাজ করানো উচিত নয়। আর আপনি যদি নিজেই গর্ভবতী হন, তবে অবশ্যই ভারী কাজ থেকে দূরে থাকুন।

👉 বিশ্রাম ও পর্যাপ্ত ঘুম: মানসিক চাপ বা অতিরিক্ত চিন্তা করবেন না। প্রতিদিন পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং নিয়মিত ঘুমানোর অভ্যাস করুন। এতে মা ও শিশুর দুজনেরই স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

👉 দীর্ঘ ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন: বিশেষ করে শেষের কয়েক মাস একেবারেই ভ্রমণ করবেন না। দীর্ঘ পথ ভ্রমণ মা ও শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

👉 পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন: নিয়মিত গোসল করুন, হাত-পা, দাঁত ও মাথার চুল পরিষ্কার রাখুন। গর্ভাবস্থায় একটু বাড়তি যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি।

👉 ঢিলেঢালা পোশাক পরুন: পেটে চাপ লাগে এমন টাইট পোশাক এড়িয়ে চলুন। আরামদায়ক সুতি কাপড়ের ঢিলেঢালা পোশাক ব্যবহার করুন।

অবশ্যই পড়ুন:  Pregnancy Health Tips: অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ব্যথা ও স্নায়ুর সমস্যার কারণ ও সমাধান

সিজারের পর মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন

সিজারের পর মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন এই বিষয়ে জ্ঞান রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। কারণ সিজারের পর সবচেয়ে বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় কিন্তু অনেকেই হয়তো জানে না সিজারের পর মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন বা নিতে হয়। এতে করে সঠিক যত্ন না নেওয়ার ফলে বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাই জেনে রাখুন সিজারের পর মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন সেই উপায় গুলো। সিজারের পর মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন তার উপায় গুলো হলোঃ 

👉 কাটা অংশের যত্ন নেওয়া: সিজারের সময় যেহেতু পেটে একটি অংশ কাটা হয়, তাই ওই স্থানের যত্ন নেওয়া খুব জরুরি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে যাতে কোনোভাবে সংক্রমণ বা ঘা না হয়।

👉 পুষ্টিকর খাবার খাওয়া: সন্তান জন্মের পর মায়ের শরীরে অনেক পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। আবার এ সময় শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে হয়, তাই মায়ের জন্য বেশি বেশি ভিটামিন ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত দরকার। এতে মা দ্রুত শক্তি ফিরে পাবেন এবং শিশুও সুস্থভাবে বেড়ে উঠবে।

👉 দুধ খাওয়ানোর সময় সঠিক ভঙ্গি: সিজারের পর মায়ের পেটে সেলাই থাকে, তাই বারবার নিচু হয়ে শিশুকে কোলে নেওয়া ঠিক নয়। শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য সঠিকভাবে বসা বা শোয়ার ভঙ্গি ঠিক করতে হবে, যাতে পেটে চাপ না পড়ে।

👉 ঘাড় ও কোমরের ব্যথা কমানো: অনেক মায়ের সিজারের পর ঘাড় বা কোমরে ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথা কমাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া খুব দরকার।

👉 ভারী কাজ এড়ানো: সিজারের পরে ভারী কোনো কাজ একেবারেই করা উচিত নয়। এতে পেটের কাটা অংশে টান পড়ে ক্ষতি হতে পারে।

👉 পর্যাপ্ত পানি পান: অনেক সময় মায়েরা ভয় পান যে পানি বেশি খেলেই টয়লেটে অসুবিধা হবে। কিন্তু এই ভয় একেবারেই অমূলক। শরীর সুস্থ রাখতে প্রচুর পানি পান করা জরুরি।

👉 অন্য যত্নগুলোও মনে রাখা দরকার: উপরোক্ত বিষয়গুলোর পাশাপাশি আরও অনেক ছোটখাটো যত্ন রয়েছে যা একবারে বলা যায় না। তবে নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা এবং সঠিক যত্ন নেওয়াই সবচেয়ে জরুরি।

সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায়

সিজারের পর সেলাই শুকাতে কতদিন সময় লাগবে সেটা আসলে নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। কারণ প্রত্যেকের শরীর আলাদা, আর নির্ভর করে শরীরের গঠন ও সুস্থ হয়ে ওঠার ক্ষমতার উপর। সাধারণত গড়ে প্রায় ২ মাসের মতো সময় লাগে সেলাই পুরোপুরি শুকাতে।

👉 কারও শরীর যদি একটু শক্ত ও টানটান হয়, তাহলে সেলাই দ্রুত শুকিয়ে যেতে পারে।
👉 আবার যাদের শরীর একটু নরম বা ঢিলা ধরনের, তাদের ক্ষেত্রে সময় একটু বেশি লাগতে পারে।
👉 অনেক সময় দেখা যায় কাটা অংশ দিয়ে রক্ত বা পুঁজ বের হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই সেলাই শুকাতে আরও বেশি সময় লাগে।

সিজারের কতদিন পর বাচ্চা নেওয়া যায়

সে জাতীয় ক্রিটিকাল ব্যাপার সিজার করলে একজন মায়ের সুস্থ হতে অনেকদিন সময় লেগে যায় তারপরেও পুরোপুরি সুস্থ হতে পারে না আর পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার আগে আবার যদি বাচ্চা নেই তাহলে এতে করে মায়ের মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে। আর একজন সিজারিয়ান মহিলা সবদিক দিয়ে সুস্থ হতে কমপক্ষে ২ বছর সময় লেগে যায়। 

তাই সিজারের কতদিন পর বাচ্চা নেওয়া যায় এ বিষয়টি যদি কেউ জেনে না থাকেন তাহলে জেনে নিন যে সিজারের মাধ্যমে একটি বাচ্চার জন্মগ্রহণ হওয়ার দুই বছরের আগে আবার বাচ্চা নেওয়া যাবে না। কমপক্ষে দুই বছর পরে আবার বাচ্চা নিতে পারেন। 

শেষ কথা

সন্তান জন্মের আগে ও পরে একজন সিজারিয়ান মায়ের যত্ন কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা আমরা সবাই জানি। আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি— সিজারের আগে ও পরে মায়ের যত্ন কেমন হওয়া উচিত, সিজারের পর কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কতদিনে সেলাই শুকায় এবং কতদিন পর আবার বাচ্চা নেওয়া যায়— এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে। আশা করছি আপনারা বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছেন।

- Advertisement -
- Advertisement -

পড়তে ভুলবেন না

- Advertisement -